ইন্টার মিয়ামি ক্লাব বিশ্বকাপের আগে ২০২৫ লিগ কাপ গ্রুপ পর্বের সমাপ্তিতে গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে মেক্সিকোর লিগা এমএক্স দল পিউমাস উনামকে ৩‑১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারফাইনালে উঠেছে। এই ম্যাচটি ছিল তাদের গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচ এবং জয়ের মাধ্যমে তারা নিশ্চিত করেছে পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার টিকিট।

পিউমাস উনামের জয়ের সূচনা হয় ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে, যখন জর্জ রুভাল্কাবা পেদ্রো ভাইতের আদর্শ পাস পেয়ে দর্শকবৃন্দের চমৎকার এই দলকে প্রথম গোল এনে দেন। সেই মুহূর্তে ইন্টার মিয়ামি ম্যাচ লিড থেকে পিছিয়ে গেলেও ৪৪তম মিনিটে লুইস সুয়ারেজের ক্ষুধাট ফলিয়ে দেওয়া উচ্চমানের আউটপাস থেকে রদ্রিগো দে পাউল স্তব্ধ করতে পারলেন না; তাঁর প্রথম গোল নিশ্চিত হয় ব্রোঞ্জ গোলের মতো নিশ্ছিদ্র ফিনিশ থেকে। এটা ছিল তাঁর প্রথম গোল মিয়ামি জার্সিতে, তবু দর্শকদের মনে একটি বড় উপলব্ধি রেখে গেল।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই, ম্যাচ ঠিক পয়েন্টে ফেরার সুযোগ আসে এবং ৫৯তম মিনিটে ইন্টার মিয়ামি একটি পেনাল্টি পেয়েছিল। সুয়ারেজ ব্যালানকার মতো স্টাইলিশ পেনাল্টি নির্ভুলভাবে জালে স্পর্শ করিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। বিরতির শুরুতেই তার জুড়ি মেলেনি, কারণ অফসাইড ফ্ল্যাগ তুলে নেওয়ায় গুল বাতিল হয়েছিল।

শেষ পর্যন্ত ৬৯তম মিনিটে সুয়ারেজ আবারও দাওয়াই করেন: তিনি তাদেশ আলেন্ডে-এর পাস থেকে গোল করিয়ে মিশনের ৩‑১ নিশ্চিত করেন। এই মুহূর্তে, সুয়ারেজ ক্লাবে একটি মাইলফলক ছুঁলেন — একটি মৌসুমে সর্বাধিক অ্যাসিস্টারে সোশ্যাল রেকর্ড এক ভারতীয় ম্যাচে সমান করেন।

এই জয় নিশ্চিত করল ইন্টার মিয়ামিকে লিগ কাপের কোয়ার্টারফাইনালের টিকিট। তাদের গ্রুপে মাত্র আট পয়েন্ট নিয়ে (২ জয়, ১ ড্র), অন্য কোনো ম্যাচের ফলাফলের ওপর অপেক্ষা না করে নিশ্চিত হওয়া যায় উন্নীত হওয়া।

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন সুয়ারেজ, যিনি গোল ও দুটি অ্যাসিস্টের মাধ্যমে পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়েছেন। রদ্রিগো দে পাউল তাঁর প্রথম গোল উদযাপন করেন, যা একটি আত্মবিশ্বাসের রোল দিচ্ছিল নতুন দল হিসেবে। সেইসঙ্গে তাদেশ আলেন্ডে শেষমূহুর্তে চাপের প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে একটি অন্তর্বর্তী গোল এনে ম্যাচটিকে চূড়ান্ত করেন ।

ম্যাচ চলাকালীন মেসি খেলা হয়নি কারণ তাঁর হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি প্রতিকূলতার জন্য তাঁকে বিশ্রামে রাখা হয়। পিউমাসের ক্ষেত্রে গোলরক্ষক নাভাস নিষিদ্ধ থাকায় মাঠে ছিলেন অপ্রত্যাশিত কঠিন অবস্থায় র সহকারী ১৭ বছর বয়সি রড্রিগো পার্রা ।

আরও পড়ুন: ইন্টার মায়ামির স্বপ্ন ভেঙে চুরমার, সাবেক ক্লাব পিএসজির কাছে লজ্জার হারে বিদায় মেসির

এই জয়ের অর্থ হলো Inter Miami MLS ফ্র্যাঞ্চাইজির ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে Leagues Cup গ্রুপ পর্ব থেকে যথাসময়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে সক্ষম হলো। তবে তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ এখনও নির্ধারিত হয়নি—ঘোষণাটা হবে Phase One ও LIGA MX ফলাফল অনুসারে ।

ম্যাচ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত পরিসংখ্যান যেগুলো উঠে এসেছে: শট প্রয়াসে ইন্টার মিয়ামি ১৮, পিউমাস ১২; কর্নার ৫ বনাম ৩; গোলরক্ষক সেভ ৪ বনাম ৩; গোলের রেশিও ছিল ৩‑১; মালিকানার হিসেবে Miami-র প্রাধান্য ৫৫.৯% বনাম ৪৪.১% ছিল ।