1. ashiqmahmud156@gmail.com : কালিকা প্রসাদ টিভি : কালিকা প্রসাদ টিভি
  2. info@www.kalikaprosadtv.online : কালিকা প্রসাদ টিভি :
বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মাগুরা বলেশ্বরপুর গ্রামে ছাবিনার উপর স্বামীর নির্মম অত্যাচার ও বাড়ির জমি বিক্রির অভিযোগ বাংলাদেশে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ফেসবুক মনিটাইজেশন: শর্ত, প্রক্রিয়া ও সফল হবার কৌশল বিজয়নগর সড়ক সংস্কারের নামে লুটপাট? স্থানীয়দের ক্ষোভ ও প্রশ্ন পাঁচবিবিতে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণবার্ষিকী আজ মাগুরায় জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ভৈরবে পিকনিকের লঞ্চে হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, দুর্ভোগে যাত্রী ও চালকরা নবীনগরে শহীদ তানজিলসহ পাঁচ সূর্যসন্তানের কবর জুড়ে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও অশ্রু—জাতির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্মান মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ: একটি নাম, একটি আগুন, একটি যুগান্তকারী প্রস্থান সোনারগাঁয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে হাজী সেলিম হকের নেতৃত্বে বিজয় র‍্যালী

গোপালগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

লুৎফর সিকদার, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি।
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

লুৎফর সিকদার, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি | ৭ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জ জেলার স্বাস্থ্যসেবার মূল কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। কিন্তু দিন দিন এ হাসপাতালের কাঙ্ক্ষিত সেবার বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন বাড়ছে—সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি কি সত্যিই জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পেরেছে?

এই হাসপাতালকে ঘিরেই গোপালগঞ্জ শহরজুড়ে গত কয়েক বছরে গজিয়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। একে একে যেন ব্যাঙের ছাতার মতো ছড়িয়ে পড়ছে এ সব প্রতিষ্ঠান। প্রশ্ন উঠছে—সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকার পরও মানুষ কেন ছুটছে এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দিকে?

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, অনেক সরকারি চিকিৎসক নিয়মিত সময় দিচ্ছেন এসব বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকে। চুক্তিভিত্তিক সম্মানী বা পরীক্ষার বিপরীতে কমিশনের বিনিময়ে এই সেবা দিচ্ছেন তারা। এতে সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসাসেবার মাঝে স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, যার ফল ভোগ করছে সাধারণ রোগীরা।

অন্যদিকে, অধিকাংশ ক্লিনিকেই সক্রিয় একটি প্রভাবশালী দালাল চক্র, যারা রোগীদের প্রভাবিত করে নির্দিষ্ট ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিকে পাঠাচ্ছে। এর ফলে স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান নয়, বরং কমিশন ভিত্তিক বাণিজ্যই হয়ে উঠেছে মুখ্য বিষয়।

অভিযোগ রয়েছে, শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বৈধ লাইসেন্স বা অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। কোথাও নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, দক্ষ নার্স কিংবা জরুরি যন্ত্রপাতি। অপারেশন থিয়েটারগুলো চলছে অপ্রশিক্ষিত কর্মীদের হাতে, যা জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে রোগীদের।

বেশিরভাগ ক্লিনিকেই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন। চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নেই কোনো ব্যবস্থা। এসব বর্জ্য যত্রতত্র ফেলায় শহরের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।

ভুল রিপোর্ট, অতিরিক্ত বিল আদায় এবং সনদবিহীন টেকনিশিয়ান দ্বারা ল্যাব পরিচালনার অভিযোগও ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। অথচ এসব অনিয়ম রোধে প্রশাসনের কার্যকর তৎপরতা চোখে পড়ছে না।

সচেতন মহলের দাবি, এই বেহাল অবস্থা ও স্বাস্থ্যখাতের বাণিজ্যিকীকরণ যদি এখনই রোধ করা না যায়, তবে ভবিষ্যতে গোপালগঞ্জের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভয়াবহ সংকটে পড়বে। তাদের প্রশ্ন—এই অনিয়ম, অবহেলা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির দায় কে নেবে?

জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই এখনই প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ। নয়তো গোপালগঞ্জের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা আরও গভীর অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত কালিকা প্রসাদ টিভি-২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট