নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুবায়ের বিন মোহাম্মদের মরদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এটি পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা নয় বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিহত জুবায়ের (আনুমানিক-১৬) রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের চারিতালুক এলাকার বাসিন্দা তপন মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় ভোলাব শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর শুক্রবার (৩০ মে) নিহতের মা মিনারা বেগম রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় জুবায়েরের তিন বন্ধু ও একজন প্রাপ্তবয়স্ককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মো. শাহীন (২০), পিতা: নাঈম, বাসিন্দা: চারিতালুক
মো. রাব্বি (১৯), পিতা: নাজির, বাসিন্দা: গাবতলা
মো. সিয়াম (১৯), পিতা: ফারুক, বাসিন্দা: গাবতলা
আক্তার হোসেন (৩৫), পিতা: হাছেন আলী, বাসিন্দা: চারিতালুক
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৮ এপ্রিল বিকেলে বন্ধু শাহীন জুবায়েরকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যায় গাবতলা এলাকার শীতলক্ষ্যার দক্ষিণ পাড়ে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত রাব্বি ও সিয়ামের সহায়তায় মাথা ও বুকে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পরিবারকে জানানো হয়, জুবায়ের নদী পার হওয়ার সময় পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছে। এ প্রচারনায় সহায়তার অভিযোগে আক্তার হোসেনকেও মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পরদিন সকালে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ এবং ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ইছাপুরা নৌ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) পরিতোষ সরকার বলেন,
“প্রথমে একটি অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হয়েছিল। ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত পাওয়ায় সেটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক থাকলেও তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।”