ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন যে ২০২৬ এর জুন মাসের পর একদিনও ক্ষমতায় থাকবে না। তিনি জুনের আগেই নির্বাচন দেবেন। ইউনূস সাহেবের কমিটমেন্ট দেখার জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করা উচিত। এই সরকার আমাদেরই সরকার। এই সরকারকে কার ইশারায় আমরা শত্রুতে রূপান্তরিত করছি? কে পেছনে কলকাঠি নাড়ছে? সেটা মাথায় নিয়ে পথ চলতে হবে।
জনগণ ড. ইউনূসের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র নেগেটিভ নয়, বরং জনগণ সম্পূর্ণভাবে ড. ইউনূসের পক্ষে। সমস্যা হচ্ছে সত্য জিনিসটি অনুধাবন করার জন্য একটু উদার হতে হবে। ভাবতে হবে ৫ই আগস্টের পূর্বের ইতিহাস—কি ছিলাম, কি আছি? এগুলো যদি চিন্তা না করি তাহলে রাজনৈতিকভাবে পরাস্ত হতে হবে। ড. ইউনূসের সামনে দেখবেন, বেশিরভাগ দলই বলে আসবে ‘নির্বাচন চাই, তবে আপনি যেদিন দেন সমস্যা নেই!’ বাইরে টক শো-তে কিংবা জনসভায় যাই বলুন না কেন, দেখবেন যমুনায় সবাই নির্বাচনের ইস্যুতে জুনের পক্ষেই থাকবে। আমার কথা হচ্ছে, সরকার এমনও হতে পারে—ডিসেম্বর, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি যেকোনো সময় নির্বাচন দিতেই পারে। তাই,তাদেরকে তিক্ত বানিয়ে আমাদের না আছে কোনো উপকার, না আছে কল্যাণ!
নিজ দলের নির্দিষ্ট নেতাকর্মীদেরকেই সমগ্র দেশ ভাবলে ভুল হবে। দেশের জনগণ কোনো অবস্থাতেই আমাদের দেশে আর বিশৃঙ্খল পরিবেশ দেখতে চায় না। সবাই চায় একটি নিঃশ্বাস নিতে, দম ফেলতে। বিএনপি সবসময় ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা একটি দল, অথচ গত ১৬ বছর প্লেটের বাড়া খাবার শেখ হাসিনা কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থেকেছে। এই মুহূর্তে দেশ এক দিকে আর বিএনপি অন্য দিকে—যা কখনোই কেউ চায় না। আমার মতামত হচ্ছে, বিএনপি ছাড়া যেমন এ দেশে নির্বাচন হবে না, তেমনি ড. ইউনূস ছাড়া আমাদের নতুন কিছু ভাববার সময় নেই। সে কারণে সমস্যা সমাধানে দুটি কাজ করণীয়, আর তা হলো ধৈর্য ধারণ করা এবং মুখের লাগাম একটু সবাই সংযত রাখা। এই মুহূর্তে আমাদের মধ্যে অনৈক্য হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সমগ্র বাংলাদেশ।