তানভীর ভুইয়া, বিজয়নগর প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ ১১ টুকরো করে গুমের চেষ্টা চালানো ঘাতক স্বামী সুমনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, সুমন হত্যাকাণ্ডের পর সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়ান। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর চেষ্টা করেন। তবে তদন্তে পরকীয়ার জেরে হত্যার প্রমাণ মেলে।
জানা গেছে, ঘটনার আগে সুমন তার একমাত্র সন্তানকে আত্মীয়ের বাসায় পাঠিয়ে দেন। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ১১ টুকরো করেন। মাথা ও দুই হাত ফ্রিজে রাখেন এবং বাকি অংশ ফ্ল্যাটের বিভিন্ন স্থানে ও কমোডে লুকানোর চেষ্টা করেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড মশিউর রহমান দুর্গন্ধ ও অস্বাভাবিক শব্দ শুনে বাসায় ঢোকার চেষ্টা করলে সুমন বাধা দেন। সন্দেহ হলে মশিউর জোর করে বাসায় প্রবেশ করে রক্তমাখা কাপড় ও বাথরুমে রক্ত দেখতে পান। তিনি স্থানীয়দের খবর দিলে সুমন গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে বায়েজিদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের বড় ভাই মো. আনোয়ার হোসেন রুবেল বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানায়, ১০ বছর আগে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়। বিদেশ থেকে ফেরার পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। ঘটনার রাতে বাসায় কয়েকজন যুবকের আগমন নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানায় সে।