আজ (১৩ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন-এর সঙ্গে বৈঠকে বসে। বৈঠকের পর দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন: “যদি নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ না হয়—তাহলে আমরা নির্বাচন চাই না।” কথাগুলোতে সেই আশঙ্কার প্রতিফলন, যা কোনো দৃষ্টিতে সমঝোতার ছায়া বহন করে না ।
তিনি আরো সতর্ক করে বলেন, “বিগত নির্বাচন কমিশনগুলোর পরিণতি যদি মুখে তুলে ধরতে হয়, তাহলে সেটা সম্ভবত আপনার ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে; আপনার গলায় গামছা ও মাজায় রশি–ওতে পরিনত হতে পারে।”—এমন এক বার্তা যা রাজনৈতিক খাত ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের ন্যূনতম সতর্কতা জন্মাবে ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরকে একক আসন ঘোষণার দাবিতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন
তারা আরও দাবি করেছেন— জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে, এবং সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। এই সনদ ও পদ্ধতিই দলটির মৌলিক দাবির ভিত্তি, যা নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও প্রজ্ঞার উপযোগী করবে বলে মনে করেন তারা । সংলাপে বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে, নির্ধারিত সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে আয়োজন, এবং পিআর পদ্ধতি জাতীয় নির্বাচনের জন্য ইতিবাচক প্রস্তাব হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে ।
ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে মোতায়েনের দাবি করা হয়েছে, যাতে বিরোধী রাজনৈতিক চাপ ও ভুল প্রভাব মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা যায় ।
তাদের ৭ দফা প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ:
গাজী আতাউর রহমান দুইবার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন: “সুন্দর, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমরা রাজি; না হলে, নির্বাচন নয়।” এমন অবস্থায়, প্রধান উপদেষ্ঠা ও নির্বাচন কমিশনকে এই পাবলিক বার্তা নিয়ে যথাযথ ভাবনার সুযোগ থাকছে ।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসলামি আন্দোলনের এই অবস্থান রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে—কারণ এটি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় গভীর সংস্কারের দাবিও উত্থাপন করছে। এটি কোনো পার্টি-কেন্দ্রিক দাবির চেয়ে অনেক বেশি—এটি সাতটি কাঠামোগত পরিবর্তনের ওপর নির্ভরশীল একটি উপমহাদেশীয় রাজনৈতিক চিত্র উপস্থাপন করে।