প্রথম দর্শনেই প্রেম—বলা হয়ে থাকে এই কথাটি। যদিও আপনার সিভি দেখে নিয়োগকর্তা প্রেমে পড়ে যাবেন না, তবে এটি যে আপনার প্রথম ইমপ্রেশন তৈরি করবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। একটি আকর্ষণীয় ও প্রাসঙ্গিক সিভি আপনাকে অন্যদের থেকে একধাপ এগিয়ে রাখবে।
রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে সিভি তৈরির সময় যেসব বিষয় মাথায় রাখবেন, চলুন দেখে নিই:
আপনার ক্যারিয়ারে ছয় মাস বা তার বেশি সময় যদি কর্মহীন থেকে থাকেন, সেটি হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের নজর এড়াবে না। তবে একে গোপন না করে গঠনমূলকভাবে ব্যাখ্যা দিন। যেমন: "স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য সময় নিয়েছি" বা "পার্সোনাল রিজনস—সেটেলড নাও" ইত্যাদি।
আপনার ডিগ্রি বা জিপিএ-ই আপনার চাকরি পাওয়ার গ্যারান্টি নয়। বরং কর্মক্ষেত্রে আপনি কতটা যোগাযোগ তৈরি করতে পারেন, কতটা প্রফেশনাল—এই বিষয়গুলোই নিয়োগদাতারা খেয়াল করেন।
‘loverboy123@gmail.com’ টাইপের মেইল আইডি সিভিতে থাকলে, সেটি হাস্যরসের সৃষ্টি করতে পারে—আপনার প্রতি আগ্রহ নয়। একটি প্রফেশনাল ইমেইল ব্যবহার করুন: যেমন, yourname.job@gmail.com
আপনি যদি এখন সিনিয়র লেভেলের চাকরির জন্য আবেদন করছেন, তবে এসএসসি বা এইচএসসি-র ফলাফল উল্লেখ না করলেও চলে। এতে সিভি অপ্রয়োজনীয়ভাবে ভারী হয়।
আপনার কর্মজীবনের অভিজ্ঞতাই সিভির মূল আকর্ষণ। কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, দায়িত্ব কী ছিল, কী অর্জন করেছেন—এসব গুছিয়ে ও স্পষ্টভাবে লিখুন।
প্রতিটি চাকরির প্রোফাইল অনুযায়ী সিভিতে তথ্য হালনাগাদ করুন। ‘এক সিভি, সব জায়গায়’—এই ভুলটি না করাই ভালো।
চাকরিজীবনের শুরুতে এক পৃষ্ঠার সিভি যথেষ্ট। আপনি যদি সিনিয়র লেভেলে থাকেন, তাহলে সর্বোচ্চ দুই পৃষ্ঠা পর্যন্ত যেতে পারেন। এর বেশি হলে সেটি পড়া নিয়োগকর্তার জন্য বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে।
সিভি মানে শুধুই আপনার তথ্য নয়, এটি একটি "ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি"। তাই গুছিয়ে, বুঝে, প্রাসঙ্গিকভাবে এবং সংক্ষিপ্ত আকারে তৈরি করুন আপনার সিভি—যাতে তা প্রথম দর্শনেই ভালো ইমপ্রেশন তৈরি করে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আরিফুল ইসলাম আশিক
২০২৫ © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত