সার্কের বিকল্প জোট গঠনে উদ্যোগ: চীন-পাকিস্তান নেতৃত্বে, বাংলাদেশও আলোচনায়
কালিকাপ্রসাদ টিভি ডেস্ক | ২৯ জুন ২০২৫
দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা গঠনের লক্ষ্যে চীন ও পাকিস্তান একযোগে উদ্যোগ নিচ্ছে, যেখানে আলোচনায় রয়েছে বাংলাদেশও। বহুদিন ধরে নিষ্ক্রিয় সার্কের স্থবিরতা দূর করতে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সংযোগ বাড়াতে বিকল্প একটি জোট গঠনের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
সম্প্রতি চীনের কুনমিং শহরে চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা এই নতুন জোট গঠনের সম্ভাব্য রূপরেখার সূচনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কূটনীতিকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতায় এই ধরনের সংহত উদ্যোগ সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।
দীর্ঘ এক দশক ধরে সার্ক কার্যত অচল। সর্বশেষ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালে ইসলামাবাদে, কিন্তু ভারত তা বয়কট করে। এরপর বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশও সেই সম্মেলনে অংশ নেয়নি। পাকিস্তানের আগ্রহ থাকলেও সার্ককে কার্যকর করতে আর কোনো ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সার্ককে একসময় দক্ষিণ এশিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিসেবে কল্পনা করা হলেও ভারত-পাকিস্তানের বৈরী সম্পর্কের কারণে এটি অচল হয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত এমনকি সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) থেকেও নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নিচ্ছে। ফলে চীন ও পাকিস্তান মনে করছে, নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে মতাদর্শগতভাবে কাছাকাছি দেশগুলোকে নিয়ে একটি কার্যকর জোট গঠন সম্ভব।
উদ্যোক্তারা বলছেন, সম্ভাব্য এই জোটের লক্ষ্য হবে:
এই জোটে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে, তবে দিল্লি এতে সাড়া দেবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানসহ আরও কিছু দেশ এতে আগ্রহী হতে পারে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
বাংলাদেশ নতুন এই আঞ্চলিক আলোচনায় শুরুর দিক থেকেই যুক্ত রয়েছে। কুনমিং বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধির উপস্থিতি প্রমাণ করে, ঢাকা এই উদ্যোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনও আসেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, আঞ্চলিক কৌশলগত ভারসাম্য, বাণিজ্যিক সম্ভাবনা এবং সংযুক্ততা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ এ ধরনের উদ্যোগে যুক্ত থাকলে লাভবান হতে পারে।