ঢাকা, ২৮ জুন ২০২৫ – চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের জন্য সকালে–সাড়ে আটটায় কেন্দ্র প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। যানজট ও জনদুর্ভোগ এড়াতে এবং পরীক্ষার্থীদের স্বস্তি দিতে এই তহবিলবদ্ধ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।
বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রে প্রবেশ শুরু হয় পরীক্ষার নির্ধারিত সময় থেকে ৩০ মিনিট আগে, অর্থাৎ ৯.৩০ টা থেকেই। তবে নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র চত্বরে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে প্রবেশ করার ব্যবস্থা নিতে হবে ।
ঢাকা বোর্ড পরীক্ষানিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস. এম. কামাল উদ্দিন হায়দারের স্বাক্ষরে আজই এই চিঠি জারি হয়েছে। এতে নির্দেশ দেয়া হয়, পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো যেন যানজট এবং জনক্লান্তি কমাতে সক্ষম হয়– সে জন্য কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রস্তুত থাকতে হবে ।
তবে লক্ষনীয়ভাবে, এটি কেবল কেন্দ্র চত্বরে প্রবেশের সময় স্বস্তির জন্য – কক্ষে ঢুকার নিয়ম – যা পরীক্ষার কাজ শুরুর আগেই নির্ধারিত, তা অপরিবর্তিত থাকবে।
রাজধানীতে পরীক্ষা শুরু হয়েছে ২৬ জুন থেকে। এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন প্রায় ১২ লাখ ৫১ হাজার শিক্ষার্থী ছয়টি বোর্ডে, ২৭৯৭টি কেন্দ্রে। প্রথম দিন সময়মতো পরীক্ষা না দেওয়ার কারণে বাদ পড়ে যাওয়া অনুপস্থিত ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা যথাক্রমে ১৯৭৫৯ ও ৪৩ ।
সংক্ষিপ্ত বিবরণে নির্দেশনা:
সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে কেন্দ্র প্রবেশের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে
তবে কক্ষে ঢুকতে পারার সময় পরীক্ষার শুরু ৩০ মিনিট আগে থেকে কার্যকর থাকবে
প্রবেশে দেরি হলে দেরির কারণ, নাম, রোল নম্বর ইত্যাদি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে রেকর্ড করতে হবে
জটল পরিস্থিতিতে প্রবেশ বিলম্ব হলে, বিলম্বের সমপরিমাণ অতিরিক্ত সময় দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে
🗨️ বিশেষ মন্তব্য
ঢাকা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, কোভিড ও ডেঙ্গু প্রোথিত এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া সরকারের অঙ্গীকার। প্রয়োজনে পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বাস্থ্য টিমদের সক্রিয় রাখা হয়েছে ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতার প্রসঙ্গেও বিজ্ঞপ্তিতে জোর দেওয়া হয়েছে ।
📝 সারসংক্ষেপ:
সকাল ৮:৩০ থেকে কেন্দ্র এলাকায় প্রবেশের সুযোগ ❗
পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ এখনও শুরু হবে ৯:৩০ (পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে)
দেরি হলে নিয়মিত ফি লেট পরীক্ষার্থীর তথ্য রেকর্ড করবে কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ
প্রয়োজনে বিলম্বের মিনিট অনুযায়ী অতিরিক্ত সময় দেওয়ার ব্যবস্থা
স্বাস্থ্যবিধি, নিরাপত্তা ও প্রবেশ ব্যবস্থায় সরকারি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পৃক্ততা থাকবে।
শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কেন্দ্র পৌঁছে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষায় অংশ নিতে এই উদ্যোগ অগ্রণীয় ভূমিকা রাখছে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।