Daily Inqilab: শিক্ষক আন্দোলনের আড়ালে নির্বাচন কারসাজির ভয়ঙ্কর ফাঁদ শিরোনামের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে, বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণ দাবির পিছনে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র কাজ করছে। এই দাবি বাস্তব প্রেক্ষাপটে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে রাজনৈতিক চাপ, প্রশাসনিক নীরবতা এবং সম্ভাব্য অনৈতিকতা যেখানে একত্রে উপকরণ হিসেবে কাজ করছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, ১৫ আগস্টের আগেই সমাজে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগের একটি দোসর — অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী— একজন গোপন ষড়যন্ত্রকারীর ভূমিকায় ছাত্র-শিক্ষক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত। পুরনো অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে তিনি দীর্ঘ ১৬ বছর নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্কের তথ্যও প্রচারিত হয়েছে। (Daily Inqilab)

আরও উদ্বেগজনক যে, এই আন্দোলনে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার ও সচিব ড. খ. ম. কবিরুল ইসলাম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহায়তা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষত, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের আশ্বস্ত করা, সচিবালয়ে বৈঠকের আয়োজন, এবং সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন—সবই রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

এই ঘটনাচক্রে বিষয়টি শুধু প্রশাসনিক দুর্নীতি নয়— বরং এটি রাজনৈতিক শিক্ষা নিয়ন্ত্রণের একটি গ্রুপের হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। দেশজুড়ে, অনেক বিশেষজ্ঞ ও সচেতন নাগরিক মনে করছেন—এই আন্দোলন এক ধরণের “Hidden Agenda”, যা নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র বা শিক্ষাকর্মীদের মাধ্যমে ভোটের পরিবেশ প্রভাবিত করার কৌশল হিসেবে কাজ করতে পারে।

বিশ্লেষকরা আরও আশঙ্কা করছেন, যদি সত্যিই এমপিওভুক্তির নামে সিন্ডিকেট মাল্টি-লেয়ার ভাবে কাজ করে এবং শিক্ষকগুলোকে নিয়োগ পোর্টালের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আরও ভয়ঙ্করভাবে বিকৃত হতে পারে। কারণ, অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে শিক্ষকরা Presiding officer বা Polling agent হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত।

এ বিষয়ে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া চরম—বিশেষ করে যারা “Instrumentalized Religion” ও “অনিচ্ছাসহ আ’লীগের রাজনীতি” দেখছেন, তারা এটিকে যুগান্তকারী একটি ঘটনা হিসেবে দেখছেন। সমাজ এবং শিক্ষা পেশার অপমান হিসেবে দেলাওয়ারের মতো একজন “আধ্যাত্মিক সূক্ষ্ম সামাজিক ব্যক্তিত্ব”কে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে সস্পৃক্ত করা, সেটিই মূল আলোচনার বিষয়।

আরও পড়ুন: সুষ্ঠু ভোটের গ্যারান্টি না পেলে নির্বাচন নয়”: ইসলামী আন্দোলনের স্পষ্ট বার্তা