অনেক সময় তিন বেলা নিয়ম করে খাওয়ার পরও শরীরে ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু পরিমাণে খাবার খাওয়া নয়—কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন, সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিছু পুষ্টিকর খাবার আছে, যেগুলো নিয়মিত খেলে দেহে শক্তির ঘাটতি দ্রুত পূরণ হতে শুরু করে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু শক্তিবর্ধক খাবারের কথা:
🔹 তাজা মৌসুমি ফল ও সবজি
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করুন মৌসুমি ও কীটনাশকমুক্ত ফল এবং সবজি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ (মিনারেল) ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
🔹 প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার
মাছ, মুরগির মাংস, ডিম, ডাল, সয়াবিন—এসব খাবারে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন, যা পেশি গঠন ও শরীরকে সবল রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত মাছ (যেমন: টুনা, স্যামন) হৃদযন্ত্রের জন্যও উপকারী।
🔹 বাদাম ও বীজ
কাজু, আখরোট, কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখী বীজ—এসব খাবারে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন ও মিনারেল। এটি শরীরের শক্তি বাড়াতে এবং মানসিক ক্লান্তি দূর করতে কার্যকর।
🔹 সুষম শস্য ও ধীরে হজম হয় এমন কার্বোহাইড্রেট
ব্রাউন রাইস, ওটস, ছোলা, ভুট্টা, মসুর ডাল ইত্যাদি ধীরে হজম হয় এবং শরীরকে দীর্ঘ সময় শক্তি দেয়। সহজ শর্করা বা রিফাইন্ড চিনি ও ময়দা দিয়ে তৈরি খাবারের পরিবর্তে এসব বেছে নেওয়াই ভালো।
🔹 প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন
প্যাকেটজাত খাবার, ফাস্টফুড ও অতিরিক্ত চিনি/লবণযুক্ত খাবারে পুষ্টির ঘাটতি থাকে। বরং এগুলো দেহকে ভারী ও দুর্বল করে তোলে।
🔹 পানি পান করুন পর্যাপ্ত পরিমাণে
যদিও পানি সরাসরি শক্তি জোগায় না, তবে শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াগুলো সচল রাখতে এটি অত্যন্ত জরুরি। হাইড্রেটেড থাকলে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি কমে যায়।
🔹 কলা
এই সহজলভ্য ফলটি তাৎক্ষণিক শক্তির জন্য দারুণ কার্যকর। এতে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং প্রাকৃতিক শর্করা, যা দ্রুত এনার্জি জোগায়।
🔹 ওটস
ওটসে থাকা জটিল কার্বোহাইড্রেট ও আঁশ (ফাইবার) ধীরে হজম হয়, ফলে এটি দীর্ঘ সময় ধরে শক্তি সরবরাহ করে। সকালে দুধ ও ফলের সঙ্গে খেতে পারেন ওটস।
🔹 প্রয়োজনে সম্পূরক গ্রহণ
খাবার থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি না মিললে পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ডি, বি১২, আয়রন, জিঙ্ক কিংবা মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করা যেতে পারে।
📌 টিপস: শুধু সঠিক খাবার নয়—প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশুদ্ধ পানি পান করাও শরীরের শক্তি ধরে রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আরিফুল ইসলাম আশিক
২০২৫ © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত