বিনোদন ডেস্ক, ১২ জুলাই ২০২৫ | কালিকা প্রসাদ টিভি ডেস্ক
রাতে মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে চুপচাপ বসে ছিলেন এক গৃহবধূ। ঘরের বাতি নিভানো, পর্দা টানা, আর দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। বাইরে থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই, ভেতরে কী চলছে। কিন্তু ওই ঘরের পাশের বাসিন্দা কৌতূহলে একটি হালকা ছিদ্র দিয়ে নজর রাখেন—আর যা দেখেন, তাতেই শুরু হয় পুরো মহল্লায় হইচই!
ঘটনাটি ঘটে ভারতের পাঞ্জাবে এক ভাড়াবাড়িতে।
বাড়ির মালিকের ছেলে সন্দেহ করছিলেন, নতুন ভাড়াটিয়া গৃহবধূ প্রতিদিন রাত ১১টার পর ঘরের ভেতরে কিছু অদ্ভুত কাজ করছেন। সন্দেহ থেকেই তিনি প্রথমে দেয়ালে কান দেন, পরে মোবাইল দিয়ে নিচু ভেন্টিলেশন ফাঁক দিয়ে রেকর্ড করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, গৃহবধূ একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপে লাইভ ভিডিও করছেন। মুখে হালকা হাসি, মাঝে মাঝে চোখে জল। লাইভে তিনি কোনো অশ্লীল বা আপত্তিকর কিছু করছিলেন না, বরং চুপচাপ নিজের জীবনের গল্প বলছিলেন। এমনকি, একসময় কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন,
“আমার স্বামী দিনে হাসে, রাতে ঘুমায়… কিন্তু কেউ জানে না আমি কেমন একা…”
এই দৃশ্য দেখেই সেই প্রতিবেশী চমকে যান। মনে করেছিলেন, গৃহবধূ হয়তো গোপনে কিছু আপত্তিকর করছিলেন। কিন্তু আসলে তিনি নিজের একাকিত্ব ও দুঃখের কথা প্রকাশ করছিলেন লাইভে।
তবে এখানেই শেষ নয়।
সেই ভিডিও ক্লিপ স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়লে পুরো এলাকায় গুজব রটে—“ওই বাসায় রাতে মেয়েরা লাইভ করে টাকা কামায়!”
পরের দিন সকালেই মহল্লার কয়েকজন মুরুব্বি গৃহবধূর দরজায় কড়া নেড়ে ওঠেন।
কিন্তু তখন যা ঘটে, তা কেউ কল্পনাও করেনি!
গৃহবধূ দরজা খুলে বাইরে আসেন, হাতে মোবাইল, আর বলেন—
“আপনারা যে ভিডিও দেখেছেন, সেটাই আসল নয়। আমার স্বামী সব জানে। ও-ই বলেছে লাইভে মনের কথা বললে ভালো লাগবে।”
তিনি আরও বলেন,
“আমি কোনো খারাপ কিছু করিনি। শুধু আমার অনুভূতি শেয়ার করেছি। তাও যদি দোষ হয়, আমি এই বাসা ছেড়ে চলে যাব।”
তার কথা শুনে সবাই স্তব্ধ। বাড়ির মালিকও বিব্রত হয়ে পড়েন। অবশেষে, স্থানীয় এক সমাজসেবক হস্তক্ষেপ করে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
জানা গেছে, গৃহবধূ এখন সেই অ্যাপ থেকে দূরে থাকছেন। তবে তার সেই লাইভ ভিডিও এখনও ফেসবুকের কিছু গ্রুপে ঘুরছে, আর কমেন্টে লেখা—
“মেয়েটার চোখে ছিল হাজারটা না বলা গল্প। আমরা ভুল বুঝেছিলাম…”