প্রতিবেদক: স্পোর্টস ডেস্ক | ৫ জুলাই ২০২৫
সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ও ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে মুখোমুখি হয়েছিল আজকের ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫-এর প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে। ম্যাচটি হয়ে ওঠে লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার দুই ফুটবল পরাশক্তির মহারণ, যার রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যায় বিশ্বব্যাপী ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়।
আক্রমণাত্মক ও টানা ৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকা আল হিলালের বিপক্ষে রক্ষণভাগে রক-সলিড অবস্থানে থাকা ১০ ম্যাচ অপরাজিত ফ্লুমিনেন্সে নিজেদের পরিকল্পনায় অনড় থাকে শুরু থেকেই। দুই কোচ সাইডলাইনে ছিলেন পুরো ম্যাচজুড়ে সক্রিয়—একদিকে সিমোনে ইনজাঘির ৫-৩-২ ফর্মেশন, অন্যদিকে রেনাতো গাউচোর ৩-৫-২ গঠনে মাঠে নামে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণের ছন্দ তোলে আল হিলাল, তবে ফ্লুমিনেন্সের মিডফিল্ড দৃঢ়তা ধরে রাখে শুরু থেকেই। বহুদিন পর আজ জ্বলে উঠলেন মার্টিনেলি—প্রথমার্ধেই করেন গোল, যা তার ১০ম গোল এবং চলতি আসরে ৩য়। যদিও গোল উদযাপনে অতিরিক্ত আবেগ দেখিয়ে হলুদ কার্ড দেখে ফেলেন, যার ফলে সেমিফাইনালে নিষিদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে আল হিলাল একাধিক আক্রমণে ফ্লুমিনেন্সের পোস্ট লক্ষ্য করে, তবে গোলরক্ষক ফাবিও এক অবিশ্বাস্য সেভে দলকে রক্ষা করেন এবং ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ঘুরে দাঁড়ায় আল হিলাল। তাদের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড লিওনার্দো দুর্দান্ত এক গোলে সমতা ফেরান। তবে সেই আনন্দ ছিল ক্ষণস্থায়ী। গাউচো সঙ্গে সঙ্গে কৌশল বদলে মার্টিনেলির বদলে মাঠে নামান আগের ম্যাচের নায়ক হারকিউলিসকে।
৭০ মিনিটে সেই হারকিউলিস আবারও নিজেকে প্রমাণ করেন, দুর্দান্ত এক গোলে ফ্লুমিনেন্সকে এগিয়ে দেন এবং আল হিলালকে ছিটকে দেন বিশ্বকাপ থেকে। উল্লেখ্য, এই আল হিলালই কিছুদিন আগে বিদায় দিয়েছিল ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটিকে।
শেষ বাঁশি বাজার পর বিজয়ের হাসি ছিল ফ্লুমিনেন্স শিবিরে, আর হতাশা আল হিলালের চোখে-মুখে। সেমিফাইনালে উঠলো ফ্লুমিনেন্সে, আরেকটি সুযোগ পেল বিশ্বকে দেখানোর যে রক্ষণভিত্তিক ফুটবলও হতে পারে দৃষ্টিনন্দন ও কার্যকর।
শুভকামনা রেনাতো গাউচো ও তার দলকে। ফুটবলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্য অভিনন্দন ফ্লুমিনেন্সে।