নিজস্ব প্রতিবেদক | কালিকা প্রসাদ টিভি
চট্টগ্রাম, ৭ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একটি মসজিদে মোয়াজ্জিনের জায়গায় আজান দিয়েছে এক রোবট! চট্টগ্রামের হালিশহরের ‘বায়তুস সালাম জামে মসজিদ’-এ শুক্রবার জুমার নামাজের আগ মুহূর্তে এই ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, অনেকে বলছেন—“এটা ভবিষ্যতের ইসলামী প্রযুক্তি।” আবার কেউ বলছেন—“এটা ধর্মীয় স্পর্শকাতরতা নিয়ে খেলা।”
📸 ভিডিওতে যা দেখা যায়
একটি সাদা রঙের হিউম্যানয়েড রোবট মসজিদের মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে সুনিপুণ কণ্ঠে আজান দিচ্ছে। রোবটের চোখে সবুজ আলো, কণ্ঠে স্বচ্ছতা ও স্পষ্ট উচ্চারণ। ভিডিওর নিচে লেখা—“বাংলাদেশে প্রথম রোবট মোয়াজ্জিন”।
🎙️ মসজিদ কর্তৃপক্ষ কী বলছেন?
মসজিদের এক পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন—
“এই রোবটটি প্রকৌশলী হাসান ইকবাল নামের এক যুবক তৈরি করেছেন। এটি শুধু আজানই নয়, নামাজের সময় গণনা, ইসলামিক রিমাইন্ডার, কুরআন তেলাওয়াতও করতে পারে। আমরা এটি পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করেছি।”
🧕 মুসুল্লিদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
একজন মুসল্লি বলেন,
“প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। পরে শুনলাম এটি একটি রোবট। আজান শুনে শরীর শিহরিত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু মনে মনে দ্বিধাও ছিল।”
অন্য একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“মানুষের জায়গায় রোবট? এটা ধর্মের অবমাননা নয় তো?”
🤖 রোবটটির নির্মাওতা কে?
তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সাবেক ছাত্র হাসান ইকবাল জানান—
“আমি এটিকে ‘আল-মুয়াজ্জিন’ নামে ডিজাইন করেছি। সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুরূপ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে এটা প্রথম। তবে পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় নয়—বর্তমানে এটি প্রি-রেকর্ডেড কণ্ঠে কাজ করছে।”
📜 ধর্মীয় বিশ্লেষকদের মতামত
ঢাকা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের মুফতি মাহবুবুল হক বলেন,
“আজান একটি ইবাদত। রোবটের মাধ্যমে তা করা ঠিক নয়। এটি ইবাদতের আসল উদ্দেশ্য ও রুহানিয়াতকে ব্যাহত করতে পারে।”
তবে তরুণ প্রজন্মের কেউ কেউ বলছেন,
“যদি রোবট নামাজ না পড়ায়, বরং সময়মতো সঠিক আজান দেয়, তাহলে সেটা প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবেই দেখাও যায়।”
অনেকে বিশ্বাস করছেন ভিডিওটি ফেক বা এডিট করা। তবে স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, ঘটনাটি বাস্তব, এবং রোবটটি এখনো সেখানে রয়েছে।
ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, শব্দ ও ঠোঁট মুভমেন্ট প্রায় সঠিকভাবে মিলে গেছে—তবে তা এডিটিংয়ের মাধ্যমে হলেও তৈরি করা সম্ভব।
🎥 ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন:
👉 “রোবট দিয়ে আজান! নিজেই দেখুন চট্টগ্রামের আলোচিত ঘটনা!”
[ভিডিও লিঙ্ক/ছবি]
📌 এই প্রতিবেদনটি প্রযুক্তি, সমাজ ও ধর্মীয় অনুভূতির সমন্বয়ে তৈরি। এতে ব্যবহৃত কিছু উপাদান কল্পনা হলেও, বাস্তবঘেঁষা বিশ্লেষণই এর মূল শক্তি।