রক্তদান—একটি মহৎ কাজ, যা একজন মানুষকে অন্য মানুষের প্রাণ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম করে। এমন মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে যারা নিয়মিত রক্তদান করেন, তারা সমাজে নীরব নায়ক হিসেবে পরিচিত হন। তেমনি একজন নিঃস্বার্থ ও নিবেদিতপ্রাণ তরুণ হলেন মোহাম্মদ আলী।
ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের সন্তান মোহাম্মদ আলী একজন শিক্ষার্থী হলেও তার পরিচিতি আরও বিস্তৃত। তিনি একজন কবি, সাহিত্যিক, নানা সামাজিক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য এবং বিশেষ করে রক্তদান কর্মসূচিতে তার অংশগ্রহণ তাকে ব্যতিক্রমী একজন সমাজসেবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
অল্প বয়সেই বহুবার রক্তদানে অংশ নিয়ে অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন মোহাম্মদ আলী। রক্তদানের আহ্বান পেলেই তিনি নিজে এগিয়ে যান এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করেন। বিশেষ করে, রক্তের প্রয়োজন হলে দিন-রাত যেকোনো সময় তিনি সাড়া দেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তার সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়, যেখানে তিনি রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে সচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে দেন এবং রক্তদাতা খুঁজে পেতে সহায়তা করেন।
এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আলী বলেন, “রক্তদান শুধু একজন মানুষকে সাহায্য করার উপায় নয়, এটি এক ধরনের মানবতার জয়গান। একজন মানুষ বাঁচলে একটি পরিবার বাঁচে।”
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এমন মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সামাজিক সচেতনতাই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। মোহাম্মদ আলীর মতো তরুণদের গল্প আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ুক, যেন অনেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসে।