ফারুক আহমেদ, মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরা সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়নের বলেশ্বরপুর গ্রামে স্ত্রী মোছাঃ ছাবিনা বেগমের (৩৫) উপর নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী মনিরুল ইসলাম জব্বার মুন্সির বিরুদ্ধে। শুধু শারীরিক নির্যাতনই নয়, স্বামীর বিরুদ্ধে বসতবাড়ি ও জমি জোর করে বিক্রির পায়তারার অভিযোগও এনেছেন ভুক্তভোগী।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছাবিনার স্বামী মনিরুল ইসলামের স্বভাব চরিত্র ভালো নয়। তিনি নিয়মিত তাস ও জুয়ার আসরে সময় কাটান এবং সংসারের জমি বিক্রি করে সেই অর্থে এইসব অপকর্ম চালিয়ে আসছেন। বর্তমানে তাদের বসতবাড়ির ৯ শতক জমি ছাড়া অন্য কোনো সম্পদ নেই। কিন্তু মনিরুল ইসলাম এই জমিও বিক্রির চেষ্টা করছেন।
ছাবিনার ভাষ্যমতে, প্রতিবাদ করলে স্বামী ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছাবিনা ও তার তিন কন্যা—মনিরা, তানজিলা ও তাসমিয়াকে আক্রমণ করেন। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী আলী আহমেদের তিন ছেলে—শরিফুল, শাহিদুল ও আকিদুলের কাছ থেকে জমির বায়না নেন এবং তাদের সহায়তায় জমি বিক্রির চেষ্টাও চালান। জমি রক্ষায় প্রতিবাদ জানালে ছাবিনার হাত ভেঙে দেওয়া হয় এবং চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল-ঘুষি মেরে আহত করা হয়।
আরও পড়ুন: ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের বেহাল দশা, কালিকাপ্রসাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চরম জনদুর্ভোগ
ছাবিনা বলেন, “আমি তিনটি মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাব? আমার স্বামী প্রতিনিয়ত আমাকে দা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই, আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য বাড়ির মালিকানা আমাদের নামে লিখে দেওয়া হোক।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম ও জমি সংক্রান্তে জড়িত শরিফুল, শাহিদুল ও আকিদুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগীর আবেদন—প্রশাসন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয় এবং এমন অমানবিক নির্যাতনের শাস্তি নিশ্চিত করে।