ফারুক আহমেদ, মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের ডুমুরশিয়া ডি.সি. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ লিপি খাতুন এবং অফিস সহকারী (ক্লার্ক) মাসুদ মোল্লার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ও অনুসন্ধানে উঠে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ও সুশাসনের জন্য হুমকি স্বরূপ।
অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে থাকা ৯টি দোকান থেকে প্রতি মাসে যে পরিমাণ ভাড়া আদায় হয় তা প্রধান শিক্ষক নিজে আত্মসাৎ করছেন। এসব অর্থ বিদ্যালয়ের কোনো অফিসিয়াল ফান্ডে জমা দেওয়ার প্রমাণ মেলেনি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি কিংবা কোনো সরকারি কাগজে এর রেকর্ড নেই।
এছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া ৫ লক্ষ টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্পও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কোথায়, কীভাবে, কোন খাতে এই টাকা ব্যয় হয়েছে তার কোনো হিসাব নেই। এমনকি কোনো কাজই দৃশ্যমান নয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এএসপি শামীমের কঠোর অবস্থান | সাহসী পদক্ষেপে জনসাধারণে স্বস্তি
বিদ্যালয়ের পুকুর ইজারা থেকেও প্রায় দুই লক্ষ টাকা আয় হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সেই টাকার কোনো রসিদ, টেন্ডার ডকুমেন্ট বা অর্থ লেনদেনের কোনো নথি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এতে প্রমাণ হয়, পুকুর ইজারার অর্থও ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
আরও একটি আলোচিত অভিযোগ হলো বিদ্যালয়ের “সততা স্টোর” নামক একটি দোকান ঘিরে। প্রধান শিক্ষক নিজেই এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে এটির অস্তিত্ব দাবি করলেও মাঠ পর্যায়ে তার কোনো উপস্থিতি বা কার্যক্রম পাওয়া যায়নি। বরং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০ টাকা করে খাতা কিনতে বাধ্য করা হয়েছে, যার কোনো রশিদ বা অফিসিয়াল অনুমোদন নেই। স্থানীয় সাংবাদিকরা এর প্রমাণ ভিডিওসহ সংগ্রহ করেছেন।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, বিদ্যালয়ের এই দুর্নীতির নেপথ্যে প্রধান শিক্ষক লিপি খাতুন ও অফিস সহকারী মাসুদ মোল্লা জড়িত। অভিযোগ রয়েছে, তারা একে অপরকে সহায়তা করছেন এবং তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের গুঞ্জনও এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী। তারা দ্রুত তদন্ত করে বিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আরিফুল ইসলাম আশিক
২০২৫ © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত