পবিত্র ঈদুল আজহা মানেই কোরবানির আনন্দ ও ধর্মীয় ত্যাগের মহিমা। কিন্তু আফ্রিকার মুসলিম প্রধান দেশ মরক্কো এবার ব্যতিক্রমী এক বাস্তবতায় ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছে। ৭ জুন, শনিবার মরক্কোতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হলেও, এবার কোরবানি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মরক্কো ভয়াবহ খরা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির গৃহপালিত পশুর উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে কোরবানিযোগ্য পশুর অভাব দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ এক রাজকীয় ডিক্রি জারি করে কোরবানি নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন। ৪ জুন, বুধবার এই নির্দেশনা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়।
রাজা এক বিবৃতিতে বলেন—
“আমি সমস্ত মরক্কোবাসীর হয়ে কোরবানি দেব।”
এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা মরক্কোয় নতুন নয়। দেশটির ইতিহাসে এর আগে তিনবার কোরবানি নিষিদ্ধ হয়েছিল। সাবেক রাজা দ্বিতীয় হাসান যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর কড়াকড়ি শর্তের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে:
সরকারি নিষেধাজ্ঞার মুখে কেমন হবে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া?
এই নির্দেশনা মেনে চলবে কি দেশের অধিকাংশ মুসলমান?
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একদিকে রাজাকে সমর্থন জানানো হলেও, অন্যদিকে অনেকেই ধর্মীয় বিধান রক্ষার দাবি জানাচ্ছেন।
📌 বিশ্লেষকরা বলছেন: “এটি কেবল ধর্মীয় সিদ্ধান্ত নয়, বরং পরিবেশ, অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত এক জটিল বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।”
📢 আপনার মতামত কী? কোরবানি নিষিদ্ধ করে খরা মোকাবিলায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি মরক্কো সরকার?
🔗 সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, দ্য মিন্ট
✍️ রিপোর্ট: কালিকা প্রসাদ টিভি