দীর্ঘদিন ধরে সাপুর বাজারে ইয়াবা ও গাঁজার ব্যবসা চালাচ্ছে আসাদ মিয়া ওরফে আরশাদ। পুলিশের ওপর হামলার পরও প্রশাসনের নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ।
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সাপুর বাজার যেন এখন মাদকের এক আতঙ্কঘন ঘাঁটি। দিনের পর দিন এখানে বেড়ে চলেছে মাদকসেবন ও বাণিজ্যের বিস্তার। স্থানীয়দের ভাষায়, এ যেন এক ‘মাদকের আগ্রাখানা’।
এ বাজার এলাকায় কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আসাদ মিয়া ওরফে আরশাদ (৩৫) বর্তমানে ভয়ানক এক নাম হয়ে উঠেছে। গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এই ব্যক্তি ফুলপুর ও আশপাশের এলাকায় পরিচিত হয়ে উঠেছেন মাদক চক্রের মূলহোতা হিসেবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আসাদ মিয়া একা নন — তার পেছনে রয়েছে কিছু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়া ও অদৃশ্য সহায়তা। এদের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই সাপুর বাজারে নির্বিঘ্নে চলছে সর্বনাশা মাদকের কারবার।
মাদক ব্যবসার কারণে এখানকার যুব সমাজ দিন দিন বিপথে যাচ্ছে। ইয়াবা ও গাঁজার প্রভাবে বেড়ে চলেছে পারিবারিক অশান্তি, সহিংসতা ও অপরাধ প্রবণতা।
আরও পড়ুন: তুচ্ছ ঘটনাকে ঘিরে পাবনায় ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র আহত
স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে পুলিশ আসাদকে গ্রেফতার করতে গেলে, ১০-১৫ জন নারী-পুরুষ মিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এমনকি একপর্যায়ে কর্মকর্তাদের পিটিয়ে পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয়। কোনোমতে তারা প্রাণে বেঁচে ফিরে যায় থানায়।
ঘটনার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি — যা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, “কোন শক্তি আসাদ মিয়াকে এতটা সাহস দিচ্ছে? কেন প্রশাসন এখনো তাকে আইনের আওতায় আনতে পারছে না?”
সাপুর বাজারের জনগণের দাবি, শুধু আসাদ মিয়াই নয় — যারা তাকে আশ্রয় দিয়ে ব্যবসা চালাতে সাহায্য করছে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। মাদকের ছোবল থেকে যুবসমাজকে বাঁচাতে এখনই প্রয়োজন দৃঢ় পদক্ষেপ।