ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধানে নান্দাইল উপজেলায় কাঁচামাটিয়া নদীর ভাঙ্গন হতে রসুলপুর গ্রাম রক্ষা ও নদী পুনঃ খনন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও সিডিউল বহির্ভূতভাবে কাজ হচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে,
এপর্যন্ত কাঁচামাটিয়া নদীর ভাঙ্গন হতে রসুলপুর গ্রাম রক্ষা ও নদী পুনঃ খনন প্রকল্পে কাগজে কলমে শতকরা ৪২ ভাগ (৪২%) কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যার আর্থিক অগ্রগতি শতকরা ২৬ - ভাগ (২৬%)। আগামী ২০২৬ইং সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি সুত্র জানায়।
সুত্রটি আরো জানায়, কাঁচামাটিয়া নদীর চংভাদেরা মুণ্ডলী গ্রাম থেকে শুরু করে কাটলিপাড়া-নান্দাইল পর্যন্ত নদীর ২৩ কিলোমিটারের পুনঃখনন কাজ হবে। এই কাজে ব্যয় হবে ১৩ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার ১শ' ৭০ টাকা। নদীটির ২৩ কি.মি দীর্ঘ পুনঃখনন কাজের স্থান ভেদে ০ মিটার হতে ২.৯৭ মিটার
গভীরতায় কার্টিং, তলদেশের প্রস্ত থাকবে ২০ মিটার এবং স্থানভেদে উপরিভাগে প্রস্ত থাকবে ২১ মিটার হতে ৩০ মিটার। প্রকল্পটির লক্ষ ও উদ্দেশ্য পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে নদীর ভাঙ্গন থেকে পাশের গ্রাম রক্ষা পাবে, টেকসই পানিব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে কমপক্ষে ১ হাজার ২শ'৫০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা হবে এবং কৃষি উৎপাদন বাড়বে। হাসি ফুটবে প্রকল্পের আশ-পাশে বসবাসকারী কৃষক ও জনগণের মুখে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম. এ জয়েন্ট ভ্যাঞ্চার' প্রকল্পটির কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্পের কাজ তদারকি করছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আখলাক উল জামিল ও উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্পটির শুরুতেই চলছে অনিয়ম আর সিডিউল বহির্ভূত কাজ। তাদের মতে, খননের পরে এই নদীর পস্থ এবং গভীরতায় চলছে লুকোচুরি খেলা।
স্থানীয়দের আশাহত করছে নদী খননের পর উত্তোলিত নদীর ধারে অগোছালোভাবে ফেলে দায়সারাভাবে কাজ শেষ করার চেষ্টা করে চলছে। যা সামান্য বৃষ্টিতে ঐ মাটি আবারো নদী গর্ভে চলে যাবে। ফলে খননকৃত নদী আবারো পুর্বের অবস্থায় ফিরে আসছে। স্থানীয়দের মতে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প তদারকি কর্মকর্তা উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম মিলেমিশে এই অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আরিফুল ইসলাম আশিক
২০২৫ © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত