নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদ সবসময়ই শিক্ষার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এবার সেই আসনে আলোচনায় এসেছেন ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ গ্রামের সন্তান এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী মুক্তার (Muktosen Muktar)।
গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে মুক্তার ছিলেন অন্যতম নেতৃত্বশীল মুখ। টিয়ারশেল, বুলেট কিংবা দমন-পীড়ন— কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা না করে তিনি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন শিক্ষার্থীদের পাশে। সহপাঠীদের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন প্রতিরোধ ও সাহসিকতার প্রতীক।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আন্দোলন-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে অনেকে নীতি থেকে সরে গেলেও মুক্তার ছিলেন ব্যতিক্রম। চাঁদাবাজি, আর্থিক প্রলোভন বা ক্ষমতার বাণিজ্যের বাইরে থেকেছেন তিনি। তার নির্লোভ ও সাদাসিধে জীবনধারার কারণেই শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে ডাকসু নির্বাচনে দলীয় রাজনীতির প্রভাব থাকলেও মুক্তার এবার ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার বিশ্বাস, শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজন স্বচ্ছ ও সৎ নেতৃত্ব, যা দলীয় ছত্রছায়ায় সীমাবদ্ধ নয়।
ঢাবির শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, মুক্তারের বিজয় মানে শুধু একটি পদ নয়— বরং সৎ, নীতিবান ও ছাত্রবান্ধব নেতৃত্বের পুনর্জাগরণ। তাদের বিশ্বাস, তিনি নির্বাচিত হলে আপসহীনভাবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবেন।
মুক্তারের প্রার্থিতা নিয়ে গর্বিত তার জন্মভূমি ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ গ্রাম। স্থানীয়দের মতে, তার জয় শুধু ঢাবির জন্য নয়, ভৈরববাসীরও একটি গৌরবময় অধ্যায় হবে।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মুক্তারের প্রতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের সমর্থন জোরদার হচ্ছে। অনেকেই তাকে সৎ নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে দেখছেন এবং দোয়া-শুভকামনা জানাচ্ছেন।
ডাকসুর ইতিহাসে বহু আন্দোলন থেকে উঠে এসেছে যুগান্তকারী নেতৃত্ব। এখন প্রশ্ন— মুক্তার কি সেই নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের প্রতীক হবেন? আপাতত এতটুকু পরিষ্কার, তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে ন্যায়ের প্রতিচ্ছবি ও নতুন রাজনীতির আশার আলো হয়ে উঠেছেন।
আরও পড়ুন: ভৈরবে পিকনিকের লঞ্চে হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, দুর্ভোগে যাত্রী ও চালকরা
সম্পাদক ও প্রকাশক : আরিফুল ইসলাম আশিক
২০২৫ © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত