দারিদ্র্য ছিল একমাত্র পরিচয়। দিনের পর দিন ভিক্ষা করেই চলতো সংসার। কিন্তু স্বপ্নটা ছিল অন্যরকম — নিজের মেয়েকে বড় মানুষ বানানোর। ভারতের এক প্রত্যন্ত প্রদেশের এক দরিদ্র বাবা রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে মেয়ের পড়াশোনার খরচ জুগিয়ে শেষ পর্যন্ত মেয়েকে বানিয়ে ফেলেছেন একজন গর্বিত প্রশাসনিক কর্মকর্তা — মেজিস্ট্রেট!
বাবার নাম রাজেশ, বয়স প্রায় ৬০। দিনের আলো ফোটার আগেই বের হয়ে পড়তেন শহরের রাস্তায়। মানুষের দেওয়া কয়েন, খাবার আর ভালোবাসা নিয়ে ফিরে আসতেন ঘরে। সেই সামান্য উপার্জন দিয়েই চালাতেন মেয়ের স্কুল-কলেজের খরচ। কোনোদিন ক্লাস ফি দিতে দেরি হয়নি, কোনোদিন বই কেনার অভাবে পড়া থেমে থাকেনি। রাজেশ বলেছিলেন, “আমি না খেয়ে থাকব, কিন্তু মেয়ের স্বপ্ন কখনো মরতে দেব না।”
মেয়ে প্রিয়াঙ্কা এখন একজন মেজিস্ট্রেট। বাবার কাঁধে মাথা রেখে তিনি বলেছিলেন, “আমার সব অর্জন এই মানুষটার জন্য। উনি না থাকলে আমি কিছুই হতে পারতাম না।”
এই গল্প শুধু দারিদ্র্যকে জয় করার নয় — এটি একজন বাবার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, ত্যাগ আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির গল্প। আমাদের সমাজে এখনো এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা নিজেরা সব হারিয়ে দিয়েও সন্তানের জন্য স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখেন।