নিজস্ব প্রতিবেদক, ৮ জুলাই ২০২৫ | পাবনা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রানীতলা থানার পুলিশ পাবনা জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সোহেলকে গ্রেফতার করেছে। তিনি পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হিসেবেও পরিচিত।
ভারতীয় ও বাংলাদেশি একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিরামপুর ঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে নজরুল ইসলাম সোহেলকে আটক করে রানীতলা থানার ওসি অর্জিত ঘোষের নেতৃত্বাধীন পুলিশ টিম। তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইন ও ফরেনার্স অ্যাক্ট-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে নজরুল ইসলাম আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক প্রতিশোধের শিকার হয়ে প্রাণনাশের হুমকির মুখে তিনি বাংলাদেশ ছেড়েছেন। তিনি দাবি করেন, “শেখ হাসিনা যেহেতু ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, আমিও প্রাণ বাঁচাতে সেই পথেই এসেছি।”
গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আমার ওপর একাধিকবার হামলা হয়েছে। আমার ঘরবাড়ি ভাঙচুর, শারীরিক নিপীড়ন ও মেরে ফেলার হুমকি এসেছে। তাই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আশায় এসেছি।”
এই ঘটনায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ নজর রেখেছে। একজন রাজনৈতিক নেতা কীভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করলেন, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, নজরুল ইসলাম সোহেলকে মঙ্গলবার লালবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
সোহেলের গ্রেফতারের খবরে পাবনা জেলার রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে বিষয়টিকে রাজনৈতিক নাটকের অংশ মনে করলেও, তার অনুসারীরা বলছেন—এই ঘটনার পেছনে রয়েছে প্রতিহিংসামূলক আচরণ।