জহির শাহ: ২ জুলাই ২০২৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক শাহ আলম খন্দকার (৪৮)। তিনি দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার নবীনগর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৫ জুন) সকালে শাহ আলম খন্দকারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ছিনতাইয়ের একটি ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বাবুল মিয়া—যিনি এলাকায় ‘টাইগার বাবুল ডাকাত’ নামে পরিচিত—ছিনতাইয়ের পর দুপুরে শাহ আলম খন্দকার স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে যান। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে বাবুল মিয়া সাংবাদিক শাহ আলমকে মারধর করেন। ঘটনাস্থলেই শাহ আলম অচেতন হয়ে পড়েন এবং পরে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় জনতা হামলাকারী বাবুল মিয়াকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনূর ইসলাম জানান, “ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয় এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বর্তমানে বাবুল মিয়া পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।”
সাংবাদিক শাহ আলমের সহকর্মীরা দাবি করেছেন, তিনি স্থানীয় অপরাধ ও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এবং অতীতে বাবুল মিয়ার গ্রেপ্তারের খবরও প্রতিবেদন করেছিলেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক মহল, সুশীল সমাজ ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
সাংবাদিক নেতারা জানিয়েছেন, “এই হত্যাকাণ্ড শুধু একজন সাংবাদিকের মৃত্যু নয়, বরং মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর এক ধরনের হুমকি।” তারা দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
শাহ আলম খন্দকারের মৃত্যু দেশের সাংবাদিকতা পেশায় নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এসেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এখনো কোনো মামলা রুজু হয়নি, তবে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।