1. ashiqmahmud156@gmail.com : কালিকা প্রসাদ টিভি : কালিকা প্রসাদ টিভি
  2. info@www.kalikaprosadtv.online : কালিকা প্রসাদ টিভি :
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে সংঘর্ষ: নিহত ৪, গুলিবিদ্ধসহ আহত বহু “গোপালগঞ্জকে আবু সাঈদগঞ্জ বানাতে হবে”—রাশেদ প্রধান গাড়িবহর নিয়ে খুলনায় পৌঁছেছেন এনসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা ১৮ জুলাই ফ্রি ইন্টারনেট দিবস: সকল মোবাইল গ্রাহক পাচ্ছেন ১ জিবি ডাটা, জেনে নিন কীভাবে পাবেন চম্পকনগর জামায়াতে ইসলামীর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত: ১৯ জুলাই ঢাকার মহাসমাবেশে যোগদানের আহ্বান মাগুরায় ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ গোপালগঞ্জে এনসিপি’র পদযাত্রায় একের পর এক হামলা হাসনাত আব্দুল্লাহকে নিরাপদে সরিয়ে নিল পুলিশ খাঁটিহাতার মাটিতে ঘুষের কলঙ্ক: ওসিসহ ছয় পুলিশের প্রত্যাহারে জনবিশ্বাসের ক্ষত ও ন্যায়ের প্রত্যাশা কুলিয়ারচরে প্যানেল চেয়ারম্যান লিটন মিয়ার অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জহির শাহ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

✍ স্টাফ রিপোর্টার: জহির শাহ্ , ২৯ জুন ২০২৫

> “স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনো একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও নেই আমাদের জেলায়! এটা আর কতদিন চলবে?”

এই প্রশ্নে মুখর হয়ে উঠেছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বর। রোববার বিকেলে জেলার শিক্ষার্থীরা ‍উচ্চশিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের দাবিতে ‍আন্দোলনে নেমে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তুলেছে পুরো শহর। দাবি—
• সরকারি মেডিকেল কলেজ
• বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
• কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের জন্য “এবার চাই, এখনই চাই” স্লোগান উঠেছে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে।

আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ফাহিম মুনতাসির (সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি)। সঞ্চালনা করেন সানিউর রহমান (ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক)।

আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব করেন আব্দুন নুর (গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য আহ্বায়ক), বিশ্বজিৎ পাল (খেলাঘর সহ-সভাপতি), শাহাদত হোসেন (সাংবাদিক ও শিক্ষক)।

অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী: সাবের হোসেন, ওমর ফারুক, মানজুরুল হাসান, জসিম উদ্দিন, মোকাররম হোসেন (ছাত্রদল কর্মী) ,মোজ্জামেল হক (ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক), সাইফুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কলেজ), মুস্তফা জাফরি (অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়), প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ৩৪ লাখ মানুষের জেলার জন্য মাত্র একটি ২৫০ শয্যার হাসপাতাল অপ্রতুল এবং অমানবিক। বিশেষ করে হৃদরোগীদের ৪০–৬০% রোগী ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান। এ ছাড়া, ১৯৭১-২০২৫ পর্যন্ত এই জেলায় একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও গড়ে ওঠেনি—যা স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক।

অথচ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রয়েছে:
গ্যাস ক্ষেত্র ও সার কারখানা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আন্তর্জাতিক নদী ও স্থলবন্দর, প্রবাসী রেমিট্যান্স, কৃষিভিত্তিক বিশাল উৎপাদন।

বক্তাদের ভাষায়,

> “উন্নয়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিংহভাগ দিচ্ছে, অথচ সেবা ও শিক্ষায় ধূলিসাৎ হচ্ছে। এ বৈষম্যের অবসান চাই।”

আন্দোলনের নেতারা জানান, বিগত ৫ বছরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তিন প্রতিষ্ঠানের জন্য স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

যেগুলোর কপি পাঠানো হয়েছে:

শিক্ষা উপদেষ্টা,অর্থ উপদেষ্টা, পরিকল্পনা উপদেষ্টা, এমনকি প্রধান উপদেষ্টার কাছেও, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

সমাবেশে বলা হয়,

> “ব্রাহ্মণবাড়িয়া আর বঞ্চিত থাকতে চায় না। আমরা মেডিকেল কলেজ, কৃষি ও বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় চাই।
আমাদের কণ্ঠস্বর যত দিন না সরকার শুনবে, ততদিন আন্দোলন চলবে।”

> “একটি শহর যখন ৫০ বছরেও ন্যূনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পায় না, তখন সেই শহর আর উপেক্ষিত নয়, অধিকার বঞ্চিত।”

সমাবেশ শেষে বের হয় বিক্ষোভ মিছিল, যা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সাধারণ জনগণও মিছিলে সংহতি প্রকাশ করে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তারা শুনেছে—একটি জেলা কীভাবে বছরের পর বছর অবহেলিত হয়ে আছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তরুণ প্রজন্ম আজ নতুন বার্তা দিয়েছে—

> “উন্নয়ন চাইলে আমাদের অধিকার আগে দাও। না হলে আমরা মাঠে নামবো, বারবার।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত কালিকা প্রসাদ টিভি-২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট