তানভীর ভুঁইয়া, বিজয়নগর প্রতিনিধি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সদ্য প্রকাশিত আসন পুনঃসীমানা তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে বিজয়নগরের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন—বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুর—ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে অন্তর্ভুক্ত করার খবরে বিজয়নগর উপজেলায় তীব্র জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে বিজয়নগরের শত শত মানুষ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি বিজয়নগর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপ ও আশ্বাসে সাময়িকভাবে স্থগিত হয়।
বিক্ষোভস্থলে বিজয়নগরের সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা বলেন, “বিজয়নগর একটি ঐক্যবদ্ধ উপজেলা। প্রশাসনিক ও ভৌগোলিকভাবে এসব ইউনিয়ন সদরঘেঁষা। এদের বাদ দিয়ে বিজয়নগরকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।”
তাঁরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দ্রুত পুরাতন সীমানা ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানান এবং প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি গণআন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করছেন।
আরও পড়ুন: প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জে চুরির ঘটনায় আটক ১
উল্লেখ্য, গত বুধবার নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদের ৪০টি আসনের খসড়া সীমানা পুনর্বিন্যাসের গেজেট প্রকাশ করে। আপত্তি, পরামর্শ ও দাবি জানানোর শেষ সময় ১০ আগস্ট ২০২৫। যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে।
বিজয়নগরবাসীর দাবি, বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুর ইউনিয়ন পূর্ণবহাল রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের গঠন পূর্বের মতো রাখা হোক অথবা বিজয়নগরকে একটি পৃথক সংসদীয় আসন হিসেবে ঘোষণা করা হোক।