আজকের ম্যাচে, ১২ আগস্ট ২০২৫-এ ডারউইনের মারারা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে সিরিজের দ্বিতীয় টি–২০ আন্তঃরাষ্ট্রীয় ম্যাচ, যেখানে মিচেল মার্শ অধিনায়কত্বে অস্ট্রেলিয়া টস জিতে প্রথমে বোল করার সিদ্ধান্ত নেয়—যা তাদের আগের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে নেওয়া হয় ।
আরও পড়ুন: ইন্টার মিয়ামি বনাম পিউমাস উনাম ম্যাচ পর্যালোচনা ও ফলাফল
এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা এক ভয়ঙ্কর রানের পাহাড় গড়ে তুলেছে—তার নেতৃত্বে তরুণ ব্যাটসম্যান ডেওয়াল্ড ব্রেভিস মাত্র ৫৬ বলে অপরাজিত ১২৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, যার মাধ্যমে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে টি–২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বোচ্চ একক স্কোরের রেকর্ড গড়েন; ফাফ দ্যু প্লেসিসের রেকর্ড ভেঙে দেন ।
ব্রেভিসের ইনিংসে অন্তত ১২টি চার ও ৮টি ছয় ছিল, বিশেষ করে দশম ও ত্রয়োদশ ওভারে ১০ বল থেকে ৪০ রান একাই তুলে নেন, যেখানে তিনি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও জশ হ্যাজলউডের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মকভাবে খেলেন ।
কিছু না থাকা ভাগ্য যেমন, ৫৬ রানে একটি ক্যাচ মিস হয় ম্যাথু কুহনেম্যান কর্তৃক, যা ব্রেভিসকে আরও লম্বা ইনিংস খেলতে সাহায্য করে । এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ফলে Proteas (দক্ষিণ আফ্রিকা) ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৮ রান করে, যা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে Highest T20I total হিসাবেও দাঁড়ায় ।
অস্ট্রেলিয়া দল শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায়। তাদের রয়েছেন শক্তিশালী ব্যাটসম্যানরা—যেমন প্রস্তুতি ম্যাচে দুরন্ত ফর্মে থাকা টিম ডেভিড, কিন্তু সেই ডেভিড মাঠে একটি বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে ডান কাঁধে চোট পান এবং ইনিংসের মাঝেই মাঠ ছেড়ে যান; এরপর তিনি ফিরে এসেও বেশিক্ষণ খেলতে পারেননি । ফলস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন কোনোভাবে ধরা যাবে না; মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেড সামান্য অবদান দিলেও সেটি ম্যাচে কম পরিপূরক হয়—নেটওয়ার্ক ড্রপ, ওভাল গোলাবারুদ অবস্থার কারণে মাঠে খুব চমৎকার ধরার সুযোগ না পাওয়া ইত্যাদি সব মিশে দলীয় খাড়া পরিস্থিতি করে তোলে ।
এই ম্যাচের সারমর্ম যদি একটানা প্যারাগ্রাফে দ্রুত উপস্থাপন করি:
আজ ডারউইনে সিরিজের দ্বিতীয় টি–২০ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমে ব্যাট করতে দেয়, এবং সেই সুযোগে Proteas শৃঙ্খল ভেঙে দেয়—২২ বছর বয়সী ডেওয়াল্ড ব্রেভিস একজোড়া রেকর্ড গড়েন: দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ একক টি–২০ ইনিংস (১২৫*), এবং দ্বিতীয় দ্রুত শতরান দক্ষিণ-আফ্রিকান হিসেবে। তার ইনিংসে ছিল নির্ভীক ১২টি চার ও ৮টি ছয়, যা স্বীকৃত ব্যাটিং ইতিহাসে ছাপ ফেলে যায়। ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং কার্যকর হয়নি, এবং প্রত্যাশিত আক্রমণাত্মক রণনীতি ব্যর্থ হয় চোট, ফিল্ডিং ত্রুটি ও চাপের কারণেই।