নিজস্ব প্রতিবেদক | দিনাজপুর

দিনাজপুরের তরুণ মো. ফাহিম হাসান— বয়স মাত্র ২২ বছর। পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক অভিনব পেশায় যুক্ত হয়েছেন তিনি।
তার পরিচয়?

“প্রেমের ঘটক” — ঠিকঠাক মনের মানুষ খুঁজে দেওয়াই তার কাজ।

শুরুটা ছিল মজা করে, কয়েকজন বন্ধু আর পরিচিতজনকে মেয়ে বা ছেলের প্রোফাইল সাজিয়ে দেওয়া। এরপরই বাড়তে থাকে চাহিদা।
কেউ চায় শান্ত মেয়ে, কেউ চায় স্মার্ট ছেলে —
ফাহিম তৈরি করে দেয় সেই যোগাযোগের সেতু। এক কথায়, অনলাইন প্রেমের ম্যাচমেকার!

📱 মোবাইলেই প্রেমের জোড়া

বর্তমানে ফাহিমের ইনবক্সে প্রতিদিন আসে গড়ে ৪০-৫০টি রিকোয়েস্ট।
তার কাজ — একদিকে ছেলেদের চাওয়া, আরেকদিকে মেয়েদের পছন্দ মিলিয়ে উপযুক্ত জোড়া তৈরি করা।

এজন্য তিনি রাখেন ভিন্ন ভিন্ন “প্যাকেজ” —
ক্লায়েন্টের চাহিদা ও যোগাযোগের ধরন অনুযায়ী।

জানা গেছে, এখন তিনি প্রতি মাসে গড়ে ১ থেকে ১.২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন — শুধুই ঘটকালি থেকে।

💬 ফাহিম বলছেন:

“অনেকে ভাবে প্রেম মানেই অসভ্যতা। আমি সেটা বদলাতে চাই।
আমি শুধু দুজনকে পরিচয় করিয়ে দিই — বাকিটা তাদের নিজেদের সম্মানের সাথে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়।
যদি একদিন বিয়ে হয়, তাহলে সেটা আমার জন্য গর্ব।”

🎯 প্রেম, প্রতারণা নয়

ফাহিমের প্ল্যাটফর্মে ভুয়া আইডি ও প্রতারকদের ঠাঁই নেই।
তিনি বলেন —

“আমি আগে যাচাই করি। মিথ্যা বললে বা অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্লক করি।”

অনেকেই তাকে ডাকে “ভালোবাসার ভাইয়া” নামে। কেউ কেউ তো সরাসরি তার মাধ্যমেই বিয়ে করে ফেলেছে!

📸 ভাইরাল হয়ে উঠেছেন ইতোমধ্যে

সম্প্রতি এক যুগলের বিয়েতে গিয়েছিলেন গেস্ট হিসেবে — যারা তার মাধ্যমেই প্রেম করে পরে সংসার গড়েছেন।
সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে টিকটক ও ফেসবুকে।
এরপর থেকেই ফাহিম হয়ে উঠেছেন দিনাজপুরের অনলাইন প্রেমের আস্থার নাম।

🔔 সমাজের প্রতি বার্তা:

এই উদ্যোগের পেছনে মজার ছলে থাকলেও ফাহিমের বার্তা স্পষ্ট —

“ভালোবাসো, কিন্তু বুঝে ভালোবাসো। সম্পর্ক গড়ো, কিন্তু সম্মানের ভিত্তিতে।
আমি শুধু মানুষকে মানুষ চিনতে সাহায্য করি — জীবনসঙ্গী খুঁজে দিতে নয়, জীবনের সম্মান রক্ষা করতেই।”

📌 শেষ কথা:
প্রেমের গল্প অনেকেই লেখে, কিন্তু ভালোবাসাকে গড়ার পেছনে এখন ঘটকালিও হতে পারে একটা সম্মানজনক উদ্যোগ — দিনাজপুরের ফাহিম সেটাই প্রমাণ করে দিচ্ছেন।