প্রিন্ট এর তারিখঃ অগাস্ট ১২, ২০২৫, ১২:২০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ১১, ২০২৫, ৪:২৮ পি.এম
নির্বাচন কমিশনের অভিমুখে চলাকালীন মিছিল থেকে আটক রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধী: বিতর্কিত ভোটার প্রবেশিকা নিয়ে টানাপোড়েন

দিল্লির নির্বাচন কমিশন অভিযানের পথে: মিছিল থেকে আটক হলেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
দিল্লির নির্বাচনী আবহে আজ সকালেই একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে — ভারতীয় কংগ্রেসের মুখ্য নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং দলের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীকে দিল্লি পুলিশ নির্বাচন কমিশনের দপ্তর অভিমুখে মিছিল করার সময় আটক করেছে।
ঘটনার শুরু হয় যখন মিছিল নেতাদের নিয়ে কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল—বিদ্যমান জনমত তৈরি করা; বিশেষ করে বিহারে ভোটার তালিকা ও ভোটার যোগ্যতা সংক্রান্ত মতভেদের বিষয়টি সামনে আনা। এরই প্রেক্ষিতে তাঁরা প্রতিবাদী “ইন্ডিয়া জোটের” সমর্থনে মিছিল বের করেন ।
পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট এবং রাজনৈতিক আলোচনা
- নিয়মবিরোধী মিছিলের অভিযোগ
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এই মিছিলের জন্য উপযুক্ত অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাই দুপুর ১২টার একটু আগে, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ মিছিলকারীদের আটক করা হয় ।
- বিহারে ভোটার তালিকা নিয়ে তীব্র আপত্তি
ঘটনার মূল কেন্দ্রবিন্দু–বিহারের ভোটার তালিকা তৈরি এবং ভোটার হওয়ার যোগ্যতা নিয়ে ক্ষমতাসীন নির্বাচন কমিশনের নেওয়া পদক্ষেপ। কংগ্রেসসহ “ইন্ডিয়া জোট” এই নতুন নিয়মের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানাচ্ছে—তারা বলছে, আধার বা ভোটার কার্ড যথেষ্ট নয়, এখন ১১ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের মধ্যে যেকোনো একটি প্রয়োজন: যেমন জন্মসনদ, পাসপোর্ট, বন অধিকার সনদ বা সরকারি শিক্ষা সনদ ইত্যাদি ।
রাজনৈতিক প্রভাব এবং পর্যালোচনা
- নির্বাহী কর্তাদের তৎপরতা
এই ঘটনার মাধ্যমে দেখা যায়, বিরোধী দলগুলো ক্ষমতাসীন নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সর্বোচ্চ স্তরের নেতৃত্ব পরিচালনায় এসেছে—প্রিয়াঙ্কা ও রাহুল গান্ধীর উপস্থিতি রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে।
- আইনি অধিকার বনাম রাজনৈতিক বক্তব্য
নির্বাহী কর্তাদের দাবি যে, অনুমতি না নিয়েই মিছিল বের করা আইনত অনুচিত। তবে বিরোধীরা মনে করছে, এটা একান্ত রাজনৈতিকভাবে আন্দোলনের অংশ—অধিকার রক্ষা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার প্রয়াস।
- ভবিষ্যতের সম্ভাব্য প্রভাব
এই ঘটনাটি আগামী ভোটে বা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে চলমান শুভংকের দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষিতে শক্তিশালী রাজনৈতিক আলোচনার জন্ম দিতে পারে।
সংক্ষেপে
দিল্লি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ পাতিয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করল কংগ্রেস নেতৃত্বের এই অভিনব প্রতিবাদ। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও—নির্বাচন কমিশনের কর্মসূচিতে ও নিয়মে আপত্তি জানিয়ে তাঁরা মাঠে নেমেছেন। এ ঘটনা রাজনৈতিক উত্তাপ অনুভব করাচ্ছে এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক গসিপে বিষয়টি আলোড়ন তুলবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আরিফুল ইসলাম আশিক
২০২৫ © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত