স্পোর্টস ডেস্ক | ৫ জুলাই ২০২৫
বন্ধু হারানোর কষ্ট যেন শত আবেগেও লুকানো যায় না। ক্লাব বিশ্বকাপে আল হিলালের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন রুবেন নেভেস, কিন্তু মনের ভেতর ছিল গভীর শোক। প্রিয় বন্ধু দিয়াগো জতার মৃত্যুর খবরে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। ম্যাচ শেষের পর আর এক মুহূর্ত দেরি না করে নিজ দেশ পর্তুগালে ফিরে যান, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
শনিবার পোর্তোর উপকণ্ঠে মাত্রীজ দে গনডোমার চার্চে অনুষ্ঠিত হয় জতা ও তার ভাই আন্দ্রে সিলভার শেষকৃত্য। সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে না ফেরার দেশে পাড়ি জমানো এই দুই ভাইয়ের বিদায়ে উপস্থিত ছিলেন তাদের পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব। ক্লাব বিশ্বকাপে ব্যস্ত থাকায় শোকানুষ্ঠানের শুরুর দিকে থাকতে পারেননি নেভেস, তবে শেষ বিদায়ের মুহূর্তে কফিন নিজ হাতে বহন করে শেষ ভালোবাসা জানালেন প্রিয় বন্ধুকে।
গত বৃহস্পতিবার স্পেনের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দিয়াগো জতা এবং তার ছোট ভাই আন্দ্রে সিলভা। জাতীয় দলের হয়ে একসাথে খেলার সূত্রে নেভেসের সঙ্গে জতার সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালেই নেভেস এই দুর্ঘটনার খবর পান এবং ভেঙে পড়েন।
নিজের সামাজিক মাধ্যমে নেভেস লেখেন,
“মানুষ বলে, সময় গেলে সব ভুলে যাই। কিন্তু তুই আমার ভাই ছিলি, তোকে আমি ভুলতে পারব না।”
ফ্লুমিনেন্সে বনাম আল হিলালের কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচের শুরুতে জতার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সেই সময় মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা নেভেস ও তার জাতীয় দলের সতীর্থ জোয়াও কানসেলোর চোখে জল—এক মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সেই দৃশ্য, যা ছুঁয়ে যায় লক্ষ-কোটি ফুটবলপ্রেমীর হৃদয়।
মাঠে একসাথে লড়াই করা দুই বন্ধু—এবার একজন বিদায় নিল চিরতরে, আরেকজন কাঁধে বইলেন সেই শেষ যাত্রার ভার। এক নিঃশব্দ কান্নায় ফুটে উঠলো বন্ধুত্বের সবচেয়ে গভীর সংজ্ঞা।