নতুন রাউলের গোল, শতভাগ সাফল্য নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
নিরপেক্ষ ভেন্যুতে জুভেন্টাসের বিপক্ষে শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রেখে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। মায়ামিতে গতকাল রাতে দলের জয়ের নায়ক ছিলেন ক্লাবের নতুন আবিষ্কার গনসালো গার্সিয়া। ‘নতুন রাউল’ নামে খ্যাত এই তরুণ ফরোয়ার্ডের একমাত্র গোলে ১–০ ব্যবধানে জয় পায় প্রতিযোগিতার সফলতম দলটি।
কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। জার্মান ক্লাবটি শেষ ষোলোতে মেক্সিকান ক্লাব মন্তেরিকে ২–১ গোলে হারিয়ে পা রেখেছে পরের রাউন্ডে। আগামী শনিবার রাত ২টায় মুখোমুখি হবে রিয়াল ও ডর্টমুন্ড।
এবারসহ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে চারবার মুখোমুখি হলো রিয়াল ও জুভেন্টাস। এর আগে ১৯৬২ সালে প্যারিসে, ১৯৯৮ সালে আমস্টারডামে এবং ২০১৭ সালে কার্ডিফে দেখা হয়েছিল তাদের। ১৯৯৮ ও ২০১৭ সালের ম্যাচ দুটি ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। চার ম্যাচের প্রতিটিতেই জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলেছে জাবি আলোনসোর দল। ম্যাচে ৫৮ শতাংশ বলের দখল রেখে রিয়াল নিয়েছে ২১টি শট, যার ১১টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে জুভেন্টাসের ছয়টি শটের মধ্যে মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। দলের হতশ্রী পারফরম্যান্স আড়াল করতে কিছুটা সফল হয়েছেন গোলরক্ষক মিকেলে দি গ্রেগোরিও, যিনি করেছেন ১০টি দারুণ সেভ।
ম্যাচের শুরু থেকেই ছোট ছোট পাসে জুভদের বক্সের আশপাশে চাপ সৃষ্টি করে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করছিল রিয়াল। তবে গোলরক্ষক গ্রেগোরিও একের পর এক আক্রমণ ব্যর্থ করে দেন। প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে আর অপেক্ষা করতে হয়নি রিয়ালকে।
৫৪ মিনিটে দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন তরুণ গনসালো গার্সিয়া। ডান পাশে বক্সের কাছ থেকে ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ডের নিখুঁত ক্রস থেকে মাথার ছোঁয়ায় জালের দেখা পান তিনি। এ গোলের মাধ্যমে চলতি ক্লাব বিশ্বকাপে নিজের দলের প্রতিটি ম্যাচে সরাসরি অবদান রাখা একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান গার্সিয়া। ইতিমধ্যেই তিনি তিনটি গোল করার পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্টও করেছেন।
গোল করার ১৪ মিনিট পর, অর্থাৎ ৬৮ মিনিটে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়, তাঁর বদলে মাঠে নামেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
ম্যাচ শেষে তরুণ শিষ্য গার্সিয়ার প্রশংসা করে রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো বলেন,
“আমার মতে, সে দিন দিন উন্নতি করছে। এখন থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত তিন–চার দিনের মধ্যে সে আরও ভালো হয়ে উঠবে। আমরা তার ওপর নজর রাখছি। প্রতিদিন আমি তার সঙ্গে কথা বলি। আমার ধারণা, কোয়ার্টার ফাইনালে সে আরও ভালো কিছু উপহার দেবে।”