বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ব্যক্তি আশরাফুল আলম সাইবার হিরো আলম আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। বুধবার (২৫ জুন ২০২৫) বিকেলে ধুনট পৌরসভার একটি বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে তিনি এই চেষ্টার করেন বলে দাবি করেছেন তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি।
জানা যায়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের ট্রল, সমালোচনা এবং ব্যক্তিগত জীবনে মানসিক চাপের কারণে হতাশায় ভুগছিলেন হিরো আলম। ধুনটে নিজের এক বন্ধুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সেখান থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ায় প্রাণহানি হয়নি। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
ধুনট থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
এদিকে, হিরো আলমের ভক্ত-অনুরাগীরা সামাজিক মাধ্যমে তার সুস্থতা কামনা করে বার্তা দিচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন, “সমালোচনা হোক, ট্রল হোক—একজন মানুষের প্রতি আমাদের সহনশীল হওয়া উচিত। এভাবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া কখনো কাম্য নয়।”
উল্লেখ্য, হিরো আলম তার ব্যতিক্রমী অভিনয়, গান ও রাজনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। এর আগেও তিনি মানসিক চাপে আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সামাজিক মাধ্যমে।
তবে তার এই পদক্ষেপ অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে—বিশেষ করে, একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি কীভাবে এতটা একা হয়ে পড়তে পারেন?
এ বিষয়ে সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, “জনমাধ্যমে আলোচিত ব্যক্তি হলেও তাদেরও আবেগ, হতাশা ও ব্যথা থাকে। সমাজ ও মিডিয়ায় নেতিবাচক মন্তব্য অনেক সময় বড় ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।”
বি.দ্র. এই প্রতিবেদনটি হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টার গুঞ্জনের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা এখনো নিশ্চিত কোনো অফিসিয়াল সূত্র থেকে প্রকাশ হয়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তাই তথ্যের ব্যাপারে পরিবর্তন বা আপডেট আসতে পারে।