বিশেষ প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য ও অবিস্মরণীয় নাম বেগম খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট ২০২৫) এই বরেণ্য নেত্রীর ৮১তম জন্মদিন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও দৃঢ়চেতা গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে।
বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় স্বামী, স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর। ১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। সামরিক শাসন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় তিনি সবসময় ছিলেন অগ্রণী ভূমিকায়।
১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলকে বিজয়ী করে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেন এবং ২০০১ সালে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
তার শাসনামলে—
গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বেগম খালেদা জিয়া একাধিকবার কারাবরণ করেছেন। শারীরিক অসুস্থতা ও রাজনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি তাঁর অবস্থান থেকে পিছিয়ে যাননি। তার নেতৃত্বে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচি পরিচালনা করেছে।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক জীবন্ত ইতিহাস। দেশের রাজনীতিতে নারীর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় তার অবদান অনন্য।
দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তার দ্রুত সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ়তা, ত্যাগ ও নেতৃত্ব প্রজন্মের পর প্রজন্ম অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষক আন্দোলনের আড়ালে ষড়যন্ত্র: দেলাওয়ার ও প্রশাসনের চক্রান্ত চলে আড়ালেই!
সম্পাদক ও প্রকাশক : আরিফুল ইসলাম আশিক
২০২৫ © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত