জহির শাহ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | ১৪ জুলাই ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ডাবিরঘর গ্রামে মাত্র ৩৩ হাজার টাকার বকেয়া দাবিকে কেন্দ্র করে ঘটে গেল এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন নারী-পুরুষ আহত হন। গ্রামের শান্ত পরিবেশ মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যেন পল্লীবাড়ির মাটিতে রক্তে লেখা হলো বেদনার এক নতুন অধ্যায়।
স্থানীয় মুদি দোকানদার নুর আলম দাবি করেন, ইউপি সদস্য বিউটি বেগম ও তাঁর স্বামী কবির হোসেনের কাছে ৩৩ হাজার টাকা বকেয়া ছিল। বারবার তাগাদার পরও টাকা না মেটানোয় রবিবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, যা দ্রুতই সহিংস রূপ নেয়। নুর আলমের আত্মীয়স্বজন ঘটনাস্থলে ছুটে এলে সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
সংঘর্ষে আহত হন নুর আলম, তাঁর পিতা আবদুর রাজ্জাক, মা নুরজাহান বেগম, চাচি রুপা বেগম, পক্ষান্তরে কবির হোসেনের ঘনিষ্ঠ সোহেল মিয়া ও সুমন আহমেদ রহমান। আহতদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কারও কারও শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
নুর আলমের ছেলে সাব্বির আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ন্যায্য পাওনা চাওয়ার অপরাধে যদি আমাদের এমন নির্যাতন সইতে হয়, তাহলে বিচার কোথায়?”
অন্যদিকে ইউপি সদস্য বিউটি বেগম বলেন, “আমি সবাইকে আপন মনে করি। পূর্বের কিছু বিরোধ থেকেই এই উত্তেজনার সূত্রপাত। আমি চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান।”
ঘটনার পরপরই কসবা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে সচেতন মহল আশা করছেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব হবে। কারণ, একটুকু পাওনা যেন আর কখনও রক্ত ঝরার কারণ না হয়, বরং গ্রাম ফিরে পাক তার হারানো সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সৌরভ।