একজন মানুষ নিজেকে কতটা সৎ, দায়িত্বশীল এবং মানবিক প্রমাণ করতে পারেন—তার উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠেছেন রূপগঞ্জ উপজেলার ডহরগাঁও গ্রামের মুদি দোকানদার মোহাম্মদ হোসাইন মোল্লা। পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হলেও সমাজে তার প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতা একেবারেই ব্যতিক্রম।
দীর্ঘদিন ধরে নিজ গ্রামে মুদি দোকান চালিয়ে আসছেন তিনি। কিন্তু শুধুই ব্যবসা নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানো, দুঃসময়ে সহযোগিতা করা এবং বিশ্বাস ধরে রাখাই যেন তার প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, হোসাইন মোল্লার দোকানে অনেকেই বাকিতে পণ্য নিয়ে থাকেন, বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশাচালক কিংবা হতদরিদ্র পরিবারগুলো। কেউ টাকা দিতে দেরি করলে তিনি কখনো বিরক্ত হন না। বরং নিজ থেকেই বলেন, “যখন পারবেন, তখন দেবেন। খালি হাতে ফিরবেন না।” তার এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে এলাকার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে দিয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ হোসাইন মোল্লা এলাকায় একজন সৎ ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তার দোকানে কখনো কম ওজন, বেশি দাম বা ভেজাল পণ্যের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বরং তিনি নিজেই চেষ্টা করেন ভালো দামে মানসম্পন্ন পণ্য এনে গ্রামের মানুষকে সেবা দিতে।
ডহরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা শামীম হোসেন বলেন,
“হোসাইন মোল্লার মতো মানুষ এখন খুব কম পাওয়া যায়। তিনি শুধু দোকানি নন, গ্রামের একজন অভিভাবকও বটে।”
শুধু ব্যবসা নয়, তিনি সামাজিক কাজেও যুক্ত। কেউ বিপদে পড়লে পাশে দাঁড়ান, ছোট খরচে স্কুলের শিক্ষার্থীদের খাতা-কলম দেন, এমনকি মাঝে মাঝে গরিবদের মাঝে চাল-ডালও বিতরণ করেন নিঃস্বার্থভাবে।
বর্তমান সমাজে যেখানে অনৈতিকতা আর লাভের দৌড়ে অনেকেই হারিয়ে ফেলছে মূল্যবোধ, সেখানে মোহাম্মদ হোসাইন মোল্লার মতো একজন সাধারণ মানুষ অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।