ট্রাম্পের শুল্কচাপে ভারত অস্থায়ী ছাড় পেতে পারে, কিন্তু বহুমুখী কূটনীতিতে আরো দৃঢ় হচ্ছে মনোভাব
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যে শতকরা ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতের রুশ তেলের আমদানি কমিয়ে আনার প্রস্তুতি নেওয়ায় সেই চাপ সাময়িক হারে হ্রাস পেতে পারে। তবে প্রতিবেদকরা মনে করছেন, এই চাপ বিপরীতপ্রভাবও ফেলছে — ভারতের বহুমুখী কূটনীতির দিকে আরও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি জন্ম দিচ্ছে ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এ শুল্ক নীতি মূলত চাপ তৈরি ও কূট-রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা বলে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে; তেলের মূল্য সাময়িকভাবে হ্রাস পেলেও, ভারত দীর্ঘমেয়াদি শান–দিয়ে নিচ্ছে স্বাধীন বহুমুখী নীতিতে । আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর চীনে সফর (যা সাত বছরের মধ্যে প্রথম) এ কৌশলের বহিঃপ্রকাশ, যা চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও নিশ্চিত করবে ।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের প্রতিরক্ষা চুক্তিতে নির্ধারিত কিছু আলোচনা—যেমন Stryker সার্কিট, Javelin ক্ষেপণাস্ত্র ও কিছু Boeing বিমান—এক পর্যায় কিছুটা বর্ধিত হয়; যদিও সরকার এ ব্যাপারে “বিদ্যমান প্রক্রিয়ার অধীন” চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ।
ভারতীয় প্রতিক্রিয়ার পরিধি সীমিত হলেও, বাজার বিশ্লেষকরা ধরেই নিচ্ছেন—ট্রাম্প হয়তো পুরোপুরি এগুলো পূর্ণায়ন করবেন না, তাই বাজার অস্থিরতা কম এবং তেলের দামেও তেমন প্রভাব পড়েনি ।
তবে এই সাময়িক লভ্যাংশের বিপরীতে, লগ্নিকভাবে ভারতের বহুমুখী কূটনীতি—চীন ও রাশিয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্থিতিশীল কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা—এগিয়ে আসছে। ২০১৯ সালের পর চীনের সঙ্গে মোদির এই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর, যা একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে ।
আরও পড়ুন:রুবাইয়াত হোসেন সভাপতি, মনিরুজ্জামান সাধারণ সম্পাদক: শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ মাগুরা জেলা কমিটি ঘোষণা
সংক্ষেপে: মার্কিন শুল্কচাপ সাময়িক সুবিধা পেতে পারে, তবে তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হল — ভারত তার বহুমুখী কূটনীতিকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করছে, যাতে পশ্চিমাদের রাজনৈতিক চাপের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র ও শক্ত অবস্থান বজায় থাকে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আরিফুল ইসলাম আশিক
২০২৫ © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত