বাংলাদেশের আকাশে দেখা গেছে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ। চাঁদ দেখা যাওয়ার মাধ্যমে শুরু হলো ত্যাগ ও কোরবানির মহিমান্বিত এই মাস। সে হিসেবে আগামী ৭ জুন, শনিবার সারাদেশে উদযাপিত হবে মুসলিম উম্মাহর অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা।
ঈদুল আজহা কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়—এটি আত্মত্যাগ, পবিত্রতা, সমবেদনা ও ভ্রাতৃত্ববোধের এক অনন্য প্রতীক। এ দিনটি মানুষে মানুষে হিংসা-বিদ্বেষ, বিভেদ ও অহংকার ভুলে গিয়ে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি, মমতা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার উপলক্ষ হয়ে ওঠে।
✅ সকালে গোসল করে বিশুদ্ধ হয়ে ঈদের প্রস্তুতি নেওয়া
✅ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও উত্তম পোশাক পরিধান করা
✅ সুগন্ধি ব্যবহার করা
✅ ঈদের নামাজে অংশ নেওয়ার আগে কিছু না খাওয়া, বরং কোরবানির মাংস দিয়েই দিন শুরু করা
✅ ঈদগাহে ধীরপায়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া এবং ভিন্ন রাস্তা দিয়ে ফেরা
✅ ঈদের নামাজ শেষে খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা
✅ তাকবির পাঠ করা—
“আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ”
✅ ঈদের নামাজ শেষে কোরবানি সম্পন্ন করা
✅ কোরবানির মাংস তিনভাগে বিভক্ত করে ভাগ করে দেওয়া—একভাগ আত্মীয়-স্বজন, একভাগ গরিব-অসহায়, একভাগ নিজের জন্য
✅ একজন আরেকজনকে এভাবে শুভেচ্ছা জানানো—
“তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিন্কুম।”
(অর্থ: আল্লাহ আমাদের ও আপনাদের আমল কবুল করুন)
ঈদুল আজহা যেমন মহান আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশের প্রতীক, তেমনি সমাজের অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর একটি সুবর্ণ সুযোগ। সচ্ছল মুসলমানদের উচিত—তাদের কোরবানির মাধ্যমে গরিব-দুঃখী, প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া।
📍 কালিকা প্রসাদ টিভি ঈদুল আজহার আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছে দেশের প্রতিটি মুসলমানকে।
🕌 “আসুন, ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেই, সৌহার্দ্য আর ভ্রাতৃত্বে মিলেমিশে গড়ে তুলি একটি মানবিক সমাজ।”
সম্পাদক ও প্রকাশক : আরিফুল ইসলাম আশিক
২০২৫ © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত