বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন
রাত নামলেই ভেসে আসে বস্ত্রহরণের শব্দ! স্থানীয়রা বলছেন—এটা শুধু ইতিহাস নয়, অভিশাপও!
নিজস্ব প্রতিবেদক | কালিকা প্রসাদ টিভি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৬ জুলাই ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের প্রত্যন্ত গ্রাম কালিবাড়ি। সবুজ গাছপালায় ঘেরা, নির্জন এই গ্রামে রয়েছে একটি শতবর্ষী পরিত্যক্ত মন্দির। প্রাচীন এই মন্দির ঘিরে ছড়িয়ে আছে নানা লোককথা ও রহস্য।
স্থানীয়রা বলেন, “মন্দিরটা দিনে যতটা শান্ত, রাতে ততটাই অশান্ত।”
📜 মন্দিরের ইতিহাস ও ‘সুড়ঙ্গ’ রহস্য
স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা তমিজ উদ্দিন (৮৬) জানান,
“বৃটিশ আমলের আগেই এই মন্দির ছিল। তখন জমিদারদের গুপ্তধন রাখার জন্য মাটির নিচে সুড়ঙ্গ খোঁড়া হতো। কালিবাড়ি মন্দিরের নিচেও নাকি আছে এক গোপন সুড়ঙ্গ, যা চলে গেছে দেউলপাড়া পর্যন্ত!”
মন্দিরের পিছনের অংশে সত্যিই দেখা মেলে মাটির নিচে নেমে যাওয়া একটি সংকীর্ণ গহ্বরের। অনেকেই বলেন, কেউ সেখানে ঢুকলে আর বের হতে পারে না।
👻 রহস্যময় শব্দ—‘বস্ত্রহরণের রাত’
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কথা শোনা যায় রাত নামলে।
গ্রামের যুবক রাজু বলেন,
“রাত ১২টার দিকে মন্দিরের দিক থেকে মেয়েলি হাসির শব্দ আসে। কখনও আবার কাপড় ছেঁড়ার আওয়াজ! যেন কেউ কারও গায়ের কাপড় ছিঁড়ে নিচ্ছে!”
এই কারণে অনেকেই রাত নামলে মন্দিরপথ মাড়ায় না।
🕯️ লোককথা, না বাস্তব?
জনশ্রুতি মতে, বহু বছর আগে এই মন্দিরে পূজা চলাকালীন এক যুবতীর উপর হামলা হয়। এরপর থেকেই নাকি তার আত্মা মন্দিরেই ঘুরে বেড়ায়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে।
ঢাকার ইতিহাস গবেষক রাকিবুল হাসান বলেন,
“এই ধরণের কাহিনি বাংলা লোকসংস্কৃতির অংশ। কিন্তু এমন ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরের নিচে সুড়ঙ্গ থাকা অস্বাভাবিক নয়। এসব জায়গা গবেষণার দাবি রাখে।”
🎥 ভিডিও রেকর্ডিং ও তদন্ত
সম্প্রতি এক ইউটিউবার মন্দিরে ক্যামেরা বসিয়ে রাত্রিকালীন ভিডিও ধারণ করেছেন। সেখানে রহস্যজনক ছায়ামূর্তি, শব্দ ও চলাচলের আভাস দেখা গেছে। এখন ভিডিওটি ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে।
📍 ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
স্থানীয় প্রশাসনের কেউ কেউ বলছেন, “এটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে তোলা যায়।” তবে সবার আগে চাই ঐতিহাসিক যাচাই ও নিরাপত্তা।
🔍 আপনি কি বিশ্বাস করেন আত্মা এখনো ঘুরে বেড়ায়? না কি এই মন্দিরের নিচে লুকিয়ে আছে শতবর্ষ পুরনো গুপ্তধন?
👉 ভিডিওটি দেখুন এবং মন্তব্য করুন—[ভিডিও/ছবি লিঙ্ক]
📌 নোট: এই প্রতিবেদনটি স্থানীয় জনশ্রুতি ও কল্পনার ভিত্তিতে তৈরি। বাস্তব অনুসন্ধানের জন্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শ প্রয়োজন।
