1. ashiqmahmud156@gmail.com : কালিকা প্রসাদ টিভি : কালিকা প্রসাদ টিভি
  2. info@www.kalikaprosadtv.online : কালিকা প্রসাদ টিভি :
বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ: একটি নাম, একটি আগুন, একটি যুগান্তকারী প্রস্থান সোনারগাঁয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে হাজী সেলিম হকের নেতৃত্বে বিজয় র‍্যালী বিজয়নগরে শহীদ ওমরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে ফুলেল শ্রদ্ধা ও দোয়া অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বিএনপির সমাবেশ ও বিজয় শোভাযাত্রা ৫ আগস্ট কালিকাপ্রসাদে বিএনপির বিজয় র‍্যালি: আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের বর্ষপূর্তি উদযাপন ভৈরবে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদনে তিন কারখানাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা না পেয়ে দোকানে লুটপাটের অভিযোগ কোন বৈশিষ্ট্যের মেয়েরা পরকীয়ায় জড়ায় বেশি? বিশ্লেষণে উঠে এলো চমকপ্রদ তথ্য! “হঠাৎ উধাও মাহিয়া মাহি! কোথায় আছেন এখন এই জনপ্রিয় নায়িকা?” যৌথ রোটারেক্ট ক্লাবের উদ্যোগে রেইনকোর্ট বিতরণ সম্পন্ন

গোপালগঞ্জে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

লুৎফর সিকদার, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি।
  • প্রকাশিত: সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে

লুৎফর সিকদার, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি | ৭ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জ জেলার স্বাস্থ্যসেবার মূল কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। কিন্তু দিন দিন এ হাসপাতালের কাঙ্ক্ষিত সেবার বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন বাড়ছে—সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি কি সত্যিই জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে পেরেছে?

এই হাসপাতালকে ঘিরেই গোপালগঞ্জ শহরজুড়ে গত কয়েক বছরে গজিয়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। একে একে যেন ব্যাঙের ছাতার মতো ছড়িয়ে পড়ছে এ সব প্রতিষ্ঠান। প্রশ্ন উঠছে—সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকার পরও মানুষ কেন ছুটছে এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দিকে?

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, অনেক সরকারি চিকিৎসক নিয়মিত সময় দিচ্ছেন এসব বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকে। চুক্তিভিত্তিক সম্মানী বা পরীক্ষার বিপরীতে কমিশনের বিনিময়ে এই সেবা দিচ্ছেন তারা। এতে সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসাসেবার মাঝে স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, যার ফল ভোগ করছে সাধারণ রোগীরা।

অন্যদিকে, অধিকাংশ ক্লিনিকেই সক্রিয় একটি প্রভাবশালী দালাল চক্র, যারা রোগীদের প্রভাবিত করে নির্দিষ্ট ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিকে পাঠাচ্ছে। এর ফলে স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান নয়, বরং কমিশন ভিত্তিক বাণিজ্যই হয়ে উঠেছে মুখ্য বিষয়।

অভিযোগ রয়েছে, শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বৈধ লাইসেন্স বা অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে। কোথাও নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, দক্ষ নার্স কিংবা জরুরি যন্ত্রপাতি। অপারেশন থিয়েটারগুলো চলছে অপ্রশিক্ষিত কর্মীদের হাতে, যা জীবন ঝুঁকিতে ফেলছে রোগীদের।

বেশিরভাগ ক্লিনিকেই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন। চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নেই কোনো ব্যবস্থা। এসব বর্জ্য যত্রতত্র ফেলায় শহরের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।

ভুল রিপোর্ট, অতিরিক্ত বিল আদায় এবং সনদবিহীন টেকনিশিয়ান দ্বারা ল্যাব পরিচালনার অভিযোগও ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। অথচ এসব অনিয়ম রোধে প্রশাসনের কার্যকর তৎপরতা চোখে পড়ছে না।

সচেতন মহলের দাবি, এই বেহাল অবস্থা ও স্বাস্থ্যখাতের বাণিজ্যিকীকরণ যদি এখনই রোধ করা না যায়, তবে ভবিষ্যতে গোপালগঞ্জের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভয়াবহ সংকটে পড়বে। তাদের প্রশ্ন—এই অনিয়ম, অবহেলা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির দায় কে নেবে?

জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই এখনই প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ, অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ। নয়তো গোপালগঞ্জের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা আরও গভীর অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত কালিকা প্রসাদ টিভি-২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট