২০২৫ সালের গ্রীষ্মে বিপুল প্রত্যাশার অন্যতম সিনেমা হিসেবে এসেছে James Gunn পরিচালিত Superman — ম্যান অফ স্টিলকে নতুন করে উপস্থাপন করার একটি সাহসী প্রয়াস। David Corenswet বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়ে উঠেছেন এই মর্মরহি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে, যেখানে তিনি Clark Kent এবং Superman—দু’জনেই—জীবন্ত করে তুলেছেন।
সিনেমাটি জুলাই ১১, ২০২৫-এ Warner Bros. Pictures-এর মাধ্যমে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এটি DC Universe (DCU): Chapter One – Gods and Monsters-এর প্রথম চলচ্চিত্র, যা একটি নতুন যুগের সূচনা হিসেবে গণ্য হচ্ছে। (উল্লেখযোগ্য, এই সিনেমা Henry Cavill-এর পরের Superman অভিনয়; Gunn এবং Peter Safran পরিচালিত নতুন DC Universe-তে একটি নতুন অধ্যায়ের পথ প্রশস্ত করছে)।
দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে এটি প্রশংসা পেয়েছে—Rotten Tomatoes-এ ৮৩% সমালোচকদের রেটিং এবং ৯১% দর্শক রেটিং অর্জন করেছে; এটিকে “Man of Tomorrow grounded in the here and now” বলে উল্লেখ করা হয়।
Gunn নিজে জানিয়েছেন, তাঁর Superman সিনেমায় তিনি চাইছিলেন এমন এক চরিত্র দেখাতে—যিনি শক্তিশালী হলেও হৃদয়বান ও আদরযোগ্য। এটি Batman-এর কঠিন অন্ধকারের বিপরীত, বরং একজন সাহসী, মানবীয় সুপারহিরো, বিশেষ করে শিশুদের কাছে শান্তির প্রতীক।
এই দৃষ্টিভঙ্গি শুধু দর্শক নয়, অভিনেতার জন্যও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। Corenswet বলেন তিনি চেয়েছেন Superman-এর চরিত্রে এমন স্পর্শ যোগ করতে যা শক্তির মাঝে একটি কোমল অনুভূতি যোগ করে।
সিনেমায় উল্লেখযোগ্যভাবে জোরালো নারী চরিত্র রয়েছে—Rachel Brosnahan (Lois Lane), Neva Howell (Martha Kent), Isabela Merced (Hawkgirl), María Gabriela de Faría (Engineer), Sara Sampaio (Eve Teschmacher), Mikaela Hoover (Cat Grant)। এমনকি Milly Alcock একটি ক্যামিও হিসেবে বোদ্ধা দেন যে হয়ত তিনি Supergirl (Kara Zor-El) চরিত্রে পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আসতে পারেন।
আরও পড়ুন: কোন বৈশিষ্ট্যের মেয়েরা পরকীয়ায় জড়ায় বেশি? বিশ্লেষণে উঠে এলো চমকপ্রদ তথ্য!
এই ব্যাপক নারীবচন ensemble গল্পে নতুন দিগন্ত যোগ করেছে, শুধু স্পটলাইট নয়, চরিত্রের গভীরতা এবং কাহিনীর সমতা এনে দিয়েছে।
Nicholas Hoult লুথরের ভূমিকায় বর্ণিত—একজন প্রযুক্তি পণ্ডিত ও দুষ্কৃতকারী, যার উদ্দেশ্য Superman-এর শক্তিকে প্রতিহত করা। Gunn এর নির্দেশনায় Hoult-এর লুথর অভিনয়ে রয়েছে বুদ্ধিমত্তা ও সংকল্পের ভিড় যা চরিত্রটিকে বিশ্বাসযোগ্য হুমকি হিসেবে দাঁড় করায়।
সিনেমার প্লটে আছে আধুনিক রাজনীতি, সামাজিক বিভাজন ও তথ্যবিজ্ঞানে সংঘর্ষ—এই উপাদানগুলো Superman-এর আদর্শ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার মাঝে একটি সাসপেন্স তৈরি করে, যা দর্শককে ভাবায় এবং সিনেমাটিকে সময়োপযোগী করে তোলে।
সাউন্ডট্র্যাক দুনিয়ার হৃদয়জয় করেছে—John Murphy এবং David Fleming-এর যৌথ সুরানিবেশন যেখানে John Williams-এর ঐতিহ্যবাহী Superman থিম ধীরে বা রক রূপে শোনা যাচ্ছে। ৩৩টি ট্র্যাকসহ আলবামটি July 4, 2025-এ মুক্তি পেয়েছে, LP সংস্করণে ক্যোলেক্টরদের মন জয় করেছে।
এছাড়া Warner Bros. একটি এক ঘণ্টার ডকুমেন্টারি ইউটিউবে প্রকাশ করেছে, যাতে থাকে নির্মাণ-নির্মাণের অন্তর্দৃষ্টির দৃশ্য—ট্রাঙ্কসের প্রশ্ন, Superdog Krypto, ও Superman-এর মানুষোচিত মতো ভাবনা।
ভারতে OTT রিলিজ নিয়ে ইতোমধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে—যদিও সুনির্দিষ্ট সময় ও প্ল্যাটফর্ম এখনও পাওয়া যায়নি, তবে এটি শীঘ্রই যুক্ত করা হবে বলে জানা যায়।
এছাড়াও নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, Gunn এই সিনেমার প্রেক্ষাপটেই Supergirl (2026) প্ল্যান করছেন, যেখানে Milly Alcock ওই চরিত্রে আরও পূর্ণাঙ্গভাবে হাজির হবেন—এই চরিত্রটির প্রথম প্রকাশ এ সিনেমার পোস্ট-ক্রেডিটসের মাধ্যমে ঘটেছে।
Superman (2025) শুধুই একটি রিবুট নয়; এটি একটি প্রতিশ্রুতি—যে Gunn মুক্ত ধরতে চান সুপারহিরো শুধু শক্তিশালী নয়, বরং মানবিক, আদর্শপ্রবণ ও একত্রিত করার শক্তি। David Corenswet, Rachel Brosnahan, Nicholas Hoult এবং ensemble cast-রা এই দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করেছেন। সংগীত, cinematography, BTS এবং পরবর্তী DCU কাহিনী সব মিলিয়ে ‘Superman’ হয়েছে এক দৌলতপূর্ণ, আধুনিক, এবং দর্শক-বন্ধু ফিল্ম।