নিউজ ডেস্ক: কালিকাপ্রসাদ টিভি
পরকীয়া—একটি শব্দ, যার চারপাশে ঘুরে বেড়ায় আবেগ, আকর্ষণ, দ্বন্দ্ব এবং সামাজিক বিতর্ক। প্রেমের টানাপোড়েনে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পেছনে পরকীয়ার ভূমিকা নতুন কিছু নয়। তবে প্রশ্ন রয়ে যায়—সবাই কি সমানভাবে এর ঝুঁকিতে থাকে? বিশেষ করে, কোন বৈশিষ্ট্যের নারীরা এই পথে বেশি এগিয়ে যান?
সম্প্রতি মনোবিজ্ঞানভিত্তিক কয়েকটি গবেষণা বলছে, ব্যক্তিত্বের নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য, আবেগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা, সম্পর্কের অতৃপ্তি এবং সামাজিক অবস্থান—এই চারটি দিক থেকেই নারীদের পরকীয়ার প্রবণতা নির্ধারিত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব নারীরা নিজের অনুভূতি প্রকাশে দ্বিধাহীন, নতুন সম্পর্ক গড়তে সহজেই আগ্রহী, এবং ‘উচ্চ রোমান্টিক ফ্যান্টাসি’ প্রবণতায় অভ্যস্ত, তারা তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যেসব নারীরা দীর্ঘদিন একঘেয়ে দাম্পত্য জীবন পার করছেন এবং যাদের জীবনে আবেগঘন বা মানসিক প্রশ্রয়ের ঘাটতি রয়েছে, তারাও সহজে অন্য কারো প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকাও অস্বীকার করার সুযোগ নেই—পুরনো বন্ধুর সাথে হঠাৎ যোগাযোগ, ফ্লার্টিং এবং আবেগঘন বার্তালাপ—সব মিলিয়ে তৈরি হয় এক অদ্ভুত টানাপোড়েন।
একটি আন্তর্জাতিক জরিপে দেখা যায়, ৭৮ শতাংশ নারী পরকীয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে ‘মানসিক তৃপ্তির অভাব’ এবং ‘সঙ্গীর উদাসীনতা’কে দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন: “হঠাৎ উধাও মাহিয়া মাহি! কোথায় আছেন এখন এই জনপ্রিয় নায়িকা?”
তবে বিশেষজ্ঞরা এটাও মনে করিয়ে দেন, পরকীয়া শুধু নারী বা পুরুষের ক্ষেত্রে আলাদা কোনো বিষয় নয়—এটি একটি মানসিক ও সম্পর্কগত জটিলতা, যা উভয় লিঙ্গেই সমানভাবে দেখা যায়।
সবশেষে, পরকীয়া কোনো সহজ বিষয় নয়। এটি সম্পর্কের বন্ধনকে দুর্বল করে এবং সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই সম্পর্কের যত্ন নেওয়া, একে অপরের অনুভূতির প্রতি সহানুভূতিশীল থাকা এবং খোলামেলা যোগাযোগ বজায় রাখাই হতে পারে পরকীয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরক্ষা।