লাইফস্টাইল ডেস্ক রিপোর্ট:
মা হচ্ছেন, কিন্তু জানেন না গর্ভে ছেলে নাকি মেয়ে? আমাদের সমাজে দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ে চলে নানা অনুমান, ধারণা ও লোককথা। কেউ বলেন, পেটের গঠন দেখলেই নাকি বোঝা যায়। আবার কেউ বলেন, গর্ভবতীর খাবারের রুচি বা মনমেজাজ থেকেও অনুমান করা যায় সন্তানের লিঙ্গ। কিন্তু বাস্তবে কি এই ধারণাগুলো বিশ্বাসযোগ্য?
চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, গর্ভে ছেলে নাকি মেয়ে—তা নিশ্চিতভাবে বোঝার একমাত্র উপায় হলো আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে আল্ট্রাসাউন্ড বা লিঙ্গ নির্ধারণ পরীক্ষা (যা অনেক দেশে আইনত নিষিদ্ধ)।
তবুও প্রচলিত কিছু লোকবিশ্বাস ও লক্ষণ নিয়ে রইলো তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ:
১. পেটের আকৃতি:
অনেকের বিশ্বাস, যদি পেট নিচের দিকে ঝুঁকে থাকে তবে ছেলে, আর যদি পেট গোল হয়ে উপর দিকে থাকে তবে মেয়ে। যদিও এই ধারণার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
২. খাবারে আগ্রহ:
গর্ভবতী মা যদি বেশি ঝাল বা প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে চান তবে ছেলে, আর মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আগ্রহ থাকলে মেয়ে হতে পারে—এমনটাও বলা হয়।
৩. ত্বকের উজ্জ্বলতা ও চেহারার পরিবর্তন:
অনেকে বলেন, মেয়েশিশু থাকলে মায়ের রূপ নাকি কিছুটা কমে যায়, আর ছেলেশিশু থাকলে মা বেশি উজ্জ্বল দেখায়। এই ধারণাও ভিত্তিহীন হলেও অনেকেই বিশ্বাস করেন।
৪. হার্টবিটের গতি:
শিশুর হার্টবিট প্রতি মিনিটে ১৪০-এর নিচে হলে ছেলে, এর বেশি হলে মেয়ে—এমন ধারণাও প্রচলিত, যদিও ডাক্তাররা একে নিছক মিথ বলেই মানেন।
বাংলাদেশসহ অনেক দেশে গর্ভে সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ আইনিভাবে নিষিদ্ধ। কারণ এটি বহু ক্ষেত্রে নারী ভ্রূণ হত্যার কারণ হয়েছে। এ কারণে শুধুমাত্র কৌতূহল মেটাতে কিংবা সামাজিক চাপের কারণে সন্তানের লিঙ্গ জানার চেষ্টা অনৈতিক ও শাস্তিযোগ্য।
আরও পড়ুন: বিজয়নগরে আজ অনুষ্ঠিত হবে মোটরসাইকেল ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল ২০২৫ তানভীর ভুইয়া, বিজয়নগর প্রতিনিধি
বিশেষজ্ঞরা বলেন—
“সন্তান ছেলে না মেয়ে—এটা নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো সে সুস্থভাবে জন্মাক, ভালো থাকুক এবং পরিবারে আনন্দ বয়ে আনুক।”
কোনো পরীক্ষা ছাড়াই গর্ভে ছেলে না মেয়ে তা নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব নয়। প্রচলিত যেসব লক্ষণ শোনা যায় তা শুধুই লোককথা ও কল্পনার মিশ্রণ। বরং মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ও মানসিক প্রশান্তি—এগুলোই হোক আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আরিফুল ইসলাম আশিক
২০২৫ © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত