আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আজ, ২৮ জুন, এশিয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ দেশে শুরু হয়েছে ব্যাপক গণবিক্ষোভ—দেশটির রাজধানীতে হাজার হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছে। খবর জানা যায়, শুধু বিক্ষোভই নয়, দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও এখন অনিশ্চিততার মুখে।
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ উঠেছে—তিনি সীমান্তগত মূল স্বার্থ ন্যাশনাল নিরাপত্তার থেকে পিছিয়ে, পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে বৈদেশিক বিতর্কে আপোষ করেছেন। এতে ভিএস (ভাষাগত সেন্সরশিপ) ভেঙে গেলে গণজাগরণের রাজনৈতিক তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্দরভিত্তিক দলেরও সমর্থন কমে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী এখন একেবারে একাকী।
রাজধানীর কেন্দ্রে অবস্থিত “ভিক্টরি মোমেনট” এলাকায় ধর্মীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে নিয়েই হাজারো বিক্ষোভকারী সরকারের পতনের দাবি জানিয়েছেন। বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী এক মন্তব্যে বলেছেন—“গণতন্ত্রে প্রতিবাদের অধিকার রয়েছে, আমি তা শ্রদ্ধা জানাই” ।
অনেকে মনে করছেন, আগামী সংসদ অধিবেশনেই হতে পারে ভর্ৎসনা-ভোট। ন্যাশনাল অ্যান্টি‑করাপশন কমিশনের তদন্ত, এবং সংবিধান আদালতের হস্তক্ষেপ—সবকিছু একসাথে কাজ করলে শাসকদলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে উঠবে। পাশাপাশি, দেশীয় মুদ্রার মূল্য কমে যাওয়ায় আর্থিক দর্ম্য সংকটও দেশের অর্থনীতিতে টেনশনের ঢেউ ফেলেছে ।
ছবি: বিক্ষোভকারীরা “ভিক্টরি মোমেনট” এলাকায় ছোট ছোট দলের পতাকা নিয়ে উৎফুল্লভাবে সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে ।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, বিদ্যমান অস্থিরতা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এটি সামরিক অভ্যুত্থান বা নতুন নির্বাচনের পথ সুগম করে দিতে পারে। কারণ, পূর্বেও এই দুর্দশাজনক রাজনৈতিক আবহে এমন ঘটনা ঘটেছে ।
তবে প্রধানমন্ত্রী এখনও পতাকার পথে সরাসরি পদত্যাগের আশ্বাস দিচ্ছেন না। অথচ পরিস্থিতির চাপ—সংগঠিতভাবে বাহিরে, আর কোন্দল—সংবিধানের ভিতরে, এবার দেখা যাবে কত দিনের জন্য।