লন্ডনের এমিরেটস স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত এমিরেটস কাপের ফাইনালে আর্সেনাল দেখালো নিজেদের শক্তি ও ধারাবাহিকতা। স্পেনের অ্যাথলেটিক ক্লাবকে ৩–০ গোলে হারিয়ে নবমবারের মতো এই শিরোপা নিজেদের করে নিল মিকেল আর্তেতার দল।
প্রথমার্ধের ২৭ মিনিটে দলের নতুন সাইনিং ভিক্টর গিয়োকেরেস তার আর্সেনাল ক্যারিয়ারের প্রথম গোল করেন। মিডফিল্ড মায়েস্ত্রো মার্টিন জুবিমেন্দি-র নিখুঁত ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন এই সুইডিশ ফরোয়ার্ড। এই গোলের পরই এমিরেটস স্টেডিয়াম গর্জে ওঠে, এবং গিয়োকেরেসের আত্মবিশ্বাস চোখে পড়ার মতো ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বুকায়ো সাকা তার স্বাভাবিক গতি ও ড্রিবলিং দক্ষতা দিয়ে অ্যাথলেটিকের ডিফেন্স ভেঙে ফেলেন। ৫৬ মিনিটে দারুণ এক ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় তিনি গোল করেন, স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২–০।
ম্যাচের ৮২ মিনিটে কাই হ্যাভার্টজ চূড়ান্ত গোলটি করেন। বাম দিক থেকে আসা ক্রস থেকে সহজ ফিনিশিং করে ম্যাচে আর্সেনালের জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে দেন।
মার্টিন জুবিমেন্দি পুরো ম্যাচে অসাধারণ খেলেন। ডিফেন্স থেকে আক্রমণ গড়া, নিখুঁত লং পাস, এবং অ্যাসিস্ট—সবকিছুতেই তিনি দলের ছন্দ ধরে রেখেছেন।
নতুন সাইনিং ভিক্টর গিয়োকেরেস দেখিয়েছেন কেন তাকে এত দামে দলে নেওয়া হয়েছে। হেডিং ও পজিশন সেন্স অসাধারণ ছিল।
সালিবা এবং গ্যাব্রিয়েল রক্ষণভাগে দুর্ভেদ্য ছিলেন, ফলে অ্যাথলেটিক ক্লাব গোলের খুব কম সুযোগ পেয়েছে।
বিলবাওয়ের দলটি শুরু থেকেই চাপে ছিল। ফরোয়ার্ডরা ঠিকমতো বল পায়নি, মিডফিল্ডেও ছিল সমন্বয়ের অভাব। ম্যাচের ২০ মিনিটে উনাই গোমেজ চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন, যা তাদের খেলার ছন্দে বড় ধাক্কা দেয়।
এই জয় শুধু একটি প্রি-সিজন ট্রফি নয়—এটি আর্সেনালের জন্য নতুন মৌসুমের আগে আত্মবিশ্বাসের বড় জোগান। টটেনহ্যাম ও ভিয়ারিয়ালের কাছে হারের পর এই জয় প্রমাণ করল যে দলটি সঠিক পথে এগোচ্ছে।
আরও পড়ুন: Al-Nassr 4-0 Rio Ave: রোনালদোর হ্যাটট্রিকে দুর্দান্ত জয়, আলো ছড়ালেন ফেলিক্সও
অন্যদিকে অ্যাথলেটিক ক্লাবের জন্য ম্যাচটি ছিল সতর্কবার্তা। লা লিগা শুরুর আগে আক্রমণভাগ ও মিডফিল্ডে পরিবর্তন আনা জরুরি।
উপসংহার: এমিরেটস কাপে এই দাপুটে জয় আর্সেনাল সমর্থকদের নতুন মৌসুম নিয়ে আশাবাদী করেছে। গিয়োকেরেসের গোল, সাকার মুভমেন্ট, এবং হ্যাভার্টজের ফিনিশ—সব মিলিয়ে আর্তেতার দলের ভবিষ্যৎ মৌসুমের জন্য এক সুস্পষ্ট বার্তা: তারা শিরোপার দৌড়ে থাকবে।