তেলটি সাধারণ দোকানে পাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট কয়েকটি আয়ুর্বেদিক দোকানে গোপনে বিক্রি হয়। নামও নির্দিষ্ট নয়—কেউ বলে “হারবাল গরম তেল”, কেউ বলে “মন গলানো তেল”। তবে পুরুষদের মধ্যে এটি এখন অজানা আকর্ষণের এক নাম।
মিরপুরের একজন পোশাকশিল্প কর্মী জানান, স্ত্রী তার প্রতি আগের মতো সাড়া দিচ্ছিল না। বন্ধুদের কথায় এই তেল সংগ্রহ করে তিনি রাতে ঘাড়ে ও হাতে মেখেছিলেন। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই স্ত্রী তার পাশে এসে বসে বলেন, “আজ অনেক সুন্দর লাগছে তোমাকে।” ওই ব্যক্তি বলছেন, বিয়ের পর প্রথমবার বউ নিজে থেকে তার হাত ধরেছিল।
এমন অভিজ্ঞতার কথাই বলছেন আরও অনেকে। কেউ কেউ এটাকে কাকতালীয় বললেও অনেকে বিশ্বাস করছেন, তেলটির সুগন্ধ আর গরমভাব মনকে প্রভাবিত করে। নরসিংদীর এক প্রবাসীও জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া এই তেল মেখে স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও “উষ্ণ” হয়েছে।
তবে তেলটি নিয়ে রয়েছে ভিন্ন মত। অনেকে এটিকে নিছক কৌশল বা মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব বলেই ব্যাখ্যা করছেন। ঢাকার এক ইউনানী চিকিৎসক বলেন, “তেলের গরম প্রভাব, সুগন্ধি ও শরীরে স্নায়বিক উত্তেজনা তৈরি করার ক্ষমতা অনেক সময় আচরণে পরিবর্তন আনতে পারে। তবে এটা ‘রোমান্টিকতা আনে’ — এমন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।”
সতর্কতা হিসেবে জানানো হয়েছে, তেলটি স্পর্শকাতর জায়গায় ব্যবহার করলে জ্বালাপোড়া বা অ্যালার্জি হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত বা অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার বিপজ্জনক হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে একটি ভেষজ চিকিৎসা কেন্দ্র।
তবে এসব মতপার্থক্যের মধ্যেও পুরুষদের আগ্রহ বেড়েই চলেছে। অনেকেই হাস্যরসের ছলে বলছেন, “যার বউ কথাই বলে না, তার একবার এই তেল লাগানো উচিত।”
তেলটি এখন শুধু শরীর নয়, সম্পর্কেও উষ্ণতা আনছে—এটাই যেন বিশ্বাস করছেন হাজারো মানুষ।
এই প্রতিবেদনটি একটি সাম্প্রতিক জনআলোচিত ভেষজ তেল নিয়ে সামাজিক প্রতিক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে লেখা। কোনো চিকিৎসা বা প্রেমের গ্যারান্টি দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়।