নিজস্ব প্রতিবেদক | কালিকা প্রসাদ টিভি
রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বর্তমান পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে উন্নয়নের নামে গাছ ও বনাঞ্চল নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে। অথচ টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশের সুরক্ষা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, “আজকের বিশ্বে নগরায়ণ, শিল্পায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নের চাপে পরিবেশ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। উন্নয়নের জন্য গাছ কাটাই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ পরিবেশকে রক্ষা করেই উন্নয়ন সম্ভব, যদি আমাদের নীতিনির্ধারক ও প্রশাসনের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা জাগে।”
আরও পড়ুন: “সবাই জানে আমি সুদর্শন, প্রমাণের দরকার নেই”— নির্বাচিত না হওয়ায় যা বললেন জায়েদ খান!
আতাউর রহমান প্রশ্ন করেন, “এটি কি সত্যিকারের উন্নয়ন, নাকি একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত?” তিনি মনে করেন, ব্যক্তি, সমাজ বা রাষ্ট্রের উন্নয়ন তখনই সার্থক, যখন তা পরিবেশবান্ধব হয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই জীবনযাপন নিশ্চিত করে।
তিনি বলেন, “অবকাঠামো নির্মাণ, রাস্তা, সেতু ও শিল্প এলাকা গড়ার জন্য গাছ কাটা প্রায়শই বাস্তবতা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আমাদের ভাবতে হবে, এই উন্নয়নের বিনিময়ে আমরা প্রকৃতিকে কতটা ধ্বংস করছি।”
তিনি আরো বলেন, “বিশেষজ্ঞদের মতে, গাছ কাটা মানে শুধু একটি গাছ নয়, একটি সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র ধ্বংস। এতে করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাড়ছে, দীর্ঘমেয়াদী দাবদাহ ও রোগবালাই বাড়ছে।”
আতাউর রহমান বলেন, “উন্নয়নের নামে গাছ কেটে ফেলা হলে তার দ্বিগুণ হারে গাছ লাগানো জরুরি। শুধু গাছ লাগানোই যথেষ্ট নয়, গাছ লাগাতে হবে পরিকল্পিতভাবে—সঠিক জায়গা, মাটি ও পরিবেশ বিবেচনায়। পাশাপাশি পরিচর্যাও জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “পরিবেশ ধ্বংস করে উন্নয়ন হলে তা টেকসই হয় না। বরং তা একসময় মানবজাতির জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায়। এখনই সময় উন্নয়ন ও পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য রেখে এগিয়ে যাওয়ার।”