রাতুল হোসেন, জেনা প্রতিনিধি, পাবনা
পাবনার ঈশ্বরদীতে বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ইসলামপাড়া ঘাট, আরামবাড়িয়া, গৌরীপুর ও বিলমাড়িয়া এলাকার পদ্মা নদী তীরবর্তী অঞ্চলে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে এক স্পিডবোট চালক গুলিবিদ্ধ হন এবং তার স্পিডবোট ছিনতাই করে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
আহত স্পিডবোট চালকের নাম সালমান হোসেন (৩৮)। বর্তমানে তিনি বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের তথ্যমতে, পদ্মা নদীর ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া ও নাটোরের লালপুর এলাকায় বালুমহালকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এসব এলাকায় বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লালপুরের যুবলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম ও কাঁকনের সঙ্গে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনি এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসানের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার টনি ও মেহেদী পক্ষের একটি স্পিডবোট পদ্মা নদীতে টহল দেওয়ার সময় প্রতিপক্ষ হঠাৎ গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে চালক সালমান হোসেন আহত হন। পরে নদীতীরে স্পিডবোট থামালে সেটি ছিনিয়ে নেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। স্থানীয়রা সালমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
গুলিবিদ্ধ চালক সালমান জানান, তিনি ইসলামপাড়া ঘাট থেকে আরামবাড়িয়া হয়ে বিলমাড়িয়া যাওয়ার পথে আচমকা গুলির শব্দ শুনতে পান। পেছন থেকে একটি স্পিডবোট তাকে ধাওয়া করে গুলি চালায়। গৌরীপুর এলাকায় পৌঁছালে তার পিঠে গুলি লাগে। প্রাণ বাঁচাতে স্পিডবোট থামালে সেটি ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
এই ঘটনার একটি ড্রোন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে গোলাগুলি ও স্পিডবোট ধাওয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। তরীমহল ঘাটের ইজারাদার ও বালু ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান অভিযোগ করেন, শহীদুল ও কাঁকন বাহিনীর লোকজন তাদের স্পিডবোট ছিনিয়ে নিয়েছে এবং চালককে গুলি করেছে। তবে শহীদুল ইসলাম ও কাঁকনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ. স. ম. আব্দুন নূর জানান, ঘটনার পর নৌপুলিশ ও থানা পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে।