আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ইরানে আরও একজন পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এ নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইরানে নিহত পরমাণুবিজ্ঞানীর সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে পৌঁছেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ নিহত বিজ্ঞানীর নাম ইসার তাবাতাবাই গোমশেহ। তিনি তেহরানের শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত সপ্তাহের শেষদিকে নিজ বাড়িতে স্ত্রী মনসুরেহ হাজিসালেমসহ নিহত হন ইসার তাবাতাবাই।
এর আগে ইরানের পক্ষ থেকে আরও নয়জন পরমাণুবিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
ইসরায়েলের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ দাবি করেছে, ‘অপারেশন নার্নিয়া’ নামে একটি উচ্চমাত্রার গোপন সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরায়েল এই হত্যাকাণ্ডগুলো পরিচালনা করেছে।
প্রথম ধাপে নয়জন বিজ্ঞানীকে ‘একযোগে’ হত্যা করা হয়, এরপর ইসার তাবাতাবাইকে হত্যার মাধ্যমে সংখ্যাটি ১০-এ গিয়ে দাঁড়ায়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অভিযান ছিল চরম গোপনীয়। ধারণা করা হচ্ছে, এতে ‘গোপন অস্ত্র’ ব্যবহার করা হয়েছে এবং ঘুমন্ত অবস্থায় বিজ্ঞানীদের হত্যা করা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার হাতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট শীর্ষ বিজ্ঞানীদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য ছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড ইসরায়েলের সুস্পষ্ট বার্তা— ইরানের পরমাণু কর্মসূচির মূল জ্ঞানধারীদের নির্মূল করাই তাদের লক্ষ্য।
ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাতে এই হামলাগুলো ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডগুলোর জেরে ইরানের পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা আরও তীব্র হতে পারে, যা গোটা অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাতের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
বিশ্বজুড়ে এখন চোখ ইরান-ইসরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।