প্রতিবেদন: ইসলামিক ডেস্ক | ৫ জুলাই ২০২৫
ইসলামী বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মহররম, আর এর ১০ তারিখ ‘আশুরা’—বিশ্ব মুসলিমের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এ দিনে রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভ ও পূর্বের এক বছরের গুনাহ মাফ পাওয়ার অপার সুযোগ রয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আশুরার ফজিলত সম্পর্কে বলেন,
“আমি আশা করি, আশুরার রোজা পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহর কাফফারা হবে।”
(সহীহ মুসলিম: ১১৬২)
ঐতিহাসিকভাবেও আশুরা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। হাদিসে বর্ণিত আছে, এই দিনে আল্লাহ তাআলা নবী মূসা (আ.) ও বনী ইসরাইলকে ফেরাউনের জুলুম থেকে রক্ষা করেন। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তিনি এই দিন রোজা রাখতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনায় এসে জানতে পারেন, ইহুদিরাও এই দিন রোজা রাখে। তখন তিনি বলেন,
“আমরা মূসার প্রতি তাদের চেয়ে অধিক হকদার।”
(সহীহ বুখারী: ২০০৪)
তবে আশুরার রোজা এককভাবে না রেখে, তার আগে বা পরে—৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ মহররম মিলিয়ে দুই দিন রোজা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন নবী করিম (সা.), যেন ইহুদিদের অনুসরণ না হয়।
আশুরা শুধুই রোজার দিন নয়—এটি আত্মশুদ্ধি, কৃতজ্ঞতা, তাওবা ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের দিন। এ দিনটি যেন হয়ে উঠুক আমাদের জীবনের গুনাহ মোচনের একটি সুন্দর উপলক্ষ।