1. ashiqmahmud156@gmail.com : কালিকা প্রসাদ টিভি : কালিকা প্রসাদ টিভি
  2. info@www.kalikaprosadtv.online : কালিকা প্রসাদ টিভি :
শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
রিয়াল মাদ্রিদে ৬৩.২ মিলিয়ন ইউরো মূল্যে খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন, যা ফুটবল বিশ্বে চমক বঙ্গবন্ধুর ৫০তম শাহাদতবার্ষিকী: জাতীয় শোক দিবসের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবনের সংগ্রাম ও ইতিহাস অতিরিক্ত ঘুম: শরীরের নীরব ঘাতক যা ধীরে ধীরে ক্ষতি করে, এর থেকে বাঁচার উপায়  Top End T20 Series 2025: কবে, কোথায় দেখবেন—সম্পূর্ণ গাইড লিবিয়ায় মাফিয়া চক্রের হাতে কিশোরগঞ্জের দিপু, মুক্তিপণ দাবি ২৫ লাখ টাকা হামজার অসাধারণ গোলেও লেস্টারের বিদায়: লিগ কাপ থেকে বাদ পড়ল বাংলাদেশি তারকা শিক্ষক আন্দোলনের আড়ালে ষড়যন্ত্র: দেলাওয়ার ও প্রশাসনের চক্রান্ত চলে আড়ালেই! জামায়াত নেতার অভিযোগ: আল্লামা সাঈদী ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় অন্যায়ের শিকার নীলফামারীতে মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন

অতিরিক্ত ঘুম: শরীরের নীরব ঘাতক যা ধীরে ধীরে ক্ষতি করে, এর থেকে বাঁচার উপায় 

অনলাইন ডেস্ক:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

অতিরিক্ত ঘুম কিভাবে শরীরের ক্ষতি করে?

ঘুম আমাদের জীবনের অপরিহার্য একটি অংশ। সুস্থ দেহ ও মস্তিষ্ক বজায় রাখতে সঠিক পরিমাণে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু যখন এই সময়সীমা অতিক্রম করে ৯-১০ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ঘুমানো হয়, তখন সেটি অতিরিক্ত ঘুম বা হাইপারসমনিয়া হিসেবে গণ্য হয়। যদিও ঘুম আমাদের শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধার করে, কিন্তু অতিরিক্ত ঘুম উল্টো শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত জানব, অতিরিক্ত ঘুম শরীরের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে এবং এর সম্ভাব্য কারণ, ক্ষতিকর দিক ও প্রতিকার।


১. অতিরিক্ত ঘুমের কারণ

অতিরিক্ত ঘুমানোর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন —

  • ঘুমের গুণগত মান খারাপ হওয়া – পর্যাপ্ত ঘুম হলেও যদি গভীর ঘুম (Deep Sleep) না হয়, তাহলে সকালে ক্লান্তি অনুভূত হয় এবং অতিরিক্ত ঘুমাতে ইচ্ছা করে।
  • ঘুমের ব্যাধি (Sleep Disorders) – স্লিপ অ্যাপনিয়া, নারকোলেপসি ইত্যাদি সমস্যা থাকলে ঘুমের ধরন বিঘ্নিত হয়।
  • মানসিক সমস্যা – ডিপ্রেশন, উদ্বেগ ও স্ট্রেস ঘুমের সময়সীমা বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • অসুস্থতা বা ওষুধের প্রভাব – কিছু রোগ বা ওষুধ সেডেটিভ প্রভাব সৃষ্টি করে।
  • অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন – অনিয়মিত ঘুমের সময়সূচি, রাত জাগা, বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল বা নিকোটিন গ্রহণ।

২. অতিরিক্ত ঘুমের ক্ষতিকর প্রভাব

ক. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া

অতিরিক্ত ঘুম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে। গবেষণা বলছে, দীর্ঘ সময় ঘুমানো স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। সময়ের সাথে সাথে এটি ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমারের ঝুঁকি বাড়ায়।

খ. মাথাব্যথা ও অবসাদ

যারা নিয়মিত বেশি সময় ঘুমান, তাদের মধ্যে প্রায়ই মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও অবসাদ দেখা দেয়। এর পেছনে মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ও ডোপামিনের ভারসাম্যহীনতা দায়ী।

অতিরিক্ত ঘুমের ক্ষতি ও প্রতিকার

গ. স্থূলতা ও বিপাকের সমস্যা

অতিরিক্ত ঘুম শরীরের মেটাবলিজম ধীর করে দেয়। ফলে শরীরে ক্যালোরি বার্ন কমে যায় এবং ওজন বেড়ে যায়। স্থূলতা আবার ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।

ঘ. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি

বেশি ঘুম ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি করতে পারে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

ঙ. হৃদরোগের সম্ভাবনা

বিভিন্ন গবেষণা প্রমাণ করেছে যে যারা প্রতিদিন ৯-১০ ঘণ্টার বেশি ঘুমান, তাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৩% পর্যন্ত বেড়ে যায়।

চ. মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি

অতিরিক্ত ঘুম ডিপ্রেশন ও উদ্বেগের লক্ষণকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এতে জীবনের প্রতি আগ্রহ কমে যায়, প্রোডাক্টিভিটি হ্রাস পায়।


৩. অতিরিক্ত ঘুম বনাম ঘুমের ঘাটতি

অনেকেই ভাবেন শুধু ঘুমের ঘাটতিই ক্ষতিকর। কিন্তু বাস্তবে, যেমন ৪-৫ ঘণ্টা ঘুম শরীরের ক্ষতি করে, তেমনি ৯-১০ ঘণ্টার বেশি ঘুমও একইভাবে ক্ষতিকর হতে পারে। দু’ক্ষেত্রেই শরীরের হরমোন ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে।

অতিরিক্ত ঘুমের ক্ষতি ও প্রতিকার


৪. প্রতিকার ও করণীয়

নিয়মিত ঘুমের সময়সূচি তৈরি করুন

প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও জাগার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

গুণগত মানসম্পন্ন ঘুম নিশ্চিত করুন

ঘুমানোর আগে মোবাইল, টিভি বা কম্পিউটার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। অন্ধকার ও নীরব ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন।

দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম এড়ান

দুপুরের পর দীর্ঘসময় ঘুমানো রাতে অনিদ্রা ও সকালে ক্লান্তির কারণ হতে পারে।

শারীরিক ব্যায়াম

প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম শরীর ও মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে, ফলে ঘুমের সময় কম লাগে কিন্তু মান উন্নত হয়।

মানসিক স্বাস্থ্য দেখাশোনা

ডিপ্রেশন বা উদ্বেগ থাকলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।


৫. কবে ডাক্তার দেখাবেন?

যদি আপনি প্রতিদিন ৯ ঘণ্টার বেশি ঘুমিয়েও সবসময় ক্লান্তি, মাথাব্যথা, মনোযোগহীনতা বা শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন, তবে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিত। এগুলো স্লিপ অ্যাপনিয়া, থাইরয়েডের সমস্যা, ডিপ্রেশন বা অন্যান্য জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে।


শেষ কথা

সঠিক ঘুমের পরিমাণ আমাদের সুস্থ জীবনের জন্য অপরিহার্য। অতিরিক্ত ঘুম যেমন শারীরিক, তেমনি মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই আমাদের উচিত নিজের জীবনযাত্রা ও ঘুমের সময়সীমা এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, যাতে দেহ ও মনের জন্য উপযুক্ত বিশ্রাম পাওয়া যায় কিন্তু ক্ষতিকর মাত্রায় দীর্ঘ না হয়। মনে রাখবেন — “যতটা প্রয়োজন, ততটাই ঘুমই সুস্থতার চাবিকাঠি”

আরও পড়ুন: পুরুষত্ব ধরে রাখার সাতটি প্রাকৃতিক উপায়: সুস্থ জীবন ও আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত কালিকা প্রসাদ টিভি-২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট